অশোক রুদ্রের নেতৃত্বে পাহাড়ে পথ চলা শুরু পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির
বেঙ্গল মিরর, ৪ ই ডিসেম্বর, কার্শিয়াংঃ পাহাড়ের রাজনীতি সর্বদাই বন্ধুর,লোকসভা ও বিধানসভায় পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে অস্থিরতা জারী করার প্রচেষ্টা রুখতে সাধারণ মানুষের সর্বদা পাশে থাকা প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকাদের দলের পক্ষে নিয়ে আসার প্রয়োজন ছিল অপরিসীম। সেই লক্ষ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই সাংসদ শান্তা ছেত্রী ও তৃনমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্র, পাহাড়ের শিক্ষক শিক্ষিকাদের সংগঠনের মধ্যে নিয়ে আসার চেষ্টা শুরু করে। শিক্ষক শিক্ষিকাদের অতি প্রয়োজনীয় কিছু কাজ বিকাশ ভবন থেকে সংগঠনের সাহায্যে সমাধান করা হয়।
উল্লেখ্য GTA শিক্ষক শিক্ষিকাদের স্বার্থরক্ষা করছিল না, ও অনেক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছিলো বলে আন্দোলন শুরু করেন পাহাড়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা। বিধানসভা নির্বাচনের আগে পাহাড়ে মিছিল দিয়ে সূচনা হয়েছিল যে সংগঠনের, মমতা ব্যানার্জীর নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গে তৃনমূল কংগ্রেসের তৃতীয় বার সরকার গড়ার পর দার্জিলিং ও কার্শিয়াং এর প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিয়ে প্রথমবার জেলা সম্মেলন করে সম্পূর্ণ হলো সেই বৃত্ত। মমতা ব্যানার্জী ও অভিষেক ব্যানার্জীর সর্বত্র তৃণমূলের সংগঠনকে ছড়িয়ে দেওয়ার ও সরকারের জনকল্যাণমুখী প্রকল্প গুলো পাহাড়ের মানুষের কাছে তুলে ধরার আবেদন করেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্র।
উন্নয়নের মাধ্যামে পাহাড়বাসীর উন্নতি করতে মুখ্যমন্ত্রীর হাত শক্ত রাখার আবেদন করেন, জেলা সভানেত্রী ও সাংসদ শান্তা ছেত্রী। রাজ্য সরকারের মন্ত্রী বুলুচিক বরাইক ও মিরিক পৌরসভার চেয়ারম্যান এল.বি.রাই কার্শিয়াং এর গাড়িধুরায় আয়োজিত এই সম্মেলন থেকে শিক্ষক শিক্ষিকাদের এলাকাবাসীর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রকল্পগুলো নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর আবেদন জানান। জেলা ও পাহাড়ের অনান্য দলীয় নেতৃত্ব ও পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা নেতৃত্বের উপস্থিতিতে আজকের সভায় শতাধিক শিক্ষক শিক্ষিকা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন।সংগঠনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সিদ্বার্থ বাবু জানান, সংগঠনের পক্ষে তারা পাহাড়ে প্রথমবার সম্মেলনের পাশাপাশি জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে জেলা সম্মেলন করবেন।