আসানসোলে সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেস থেকে ৪ নাবালিকা সহ ৬ জনকে উদ্ধার করলো আরপিএফের মাতঙ্গীনি স্কোয়ার্ড, গ্রেফতার ১, দিল্লিতে পাচারের অভিযোগ
বেঙ্গল মিরর, . রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ৭ ডিসেম্বরঃ পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের আসানসোল স্টেশন থেকে নিউ দিল্লি গামী শিয়ালদহ – নিউ দিল্লি সম্পর্ক ক্রান্তি এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে উদ্ধার হলো ৪ নাবালিকা সহ ৬ জন। মঙ্গলবার আসানসোল ডিভিশনের আরপিএফের মহিলা জওয়ানদের তৈরী হওয়া মাতঙ্গীনি স্কোয়ার্ড এই কাজ করেছে বলে এদিন সন্ধ্যায় জানান সিনিয়র সিকিউরিটি কমিশনার চন্দ্রমোহন মিশ্র।




তিনি আরো বলেন, ৬ জনের মধ্যে ৪ জনের বয়স ১৮ বছরের নিচে। বাকি দুজন যুবতী। এরা প্রত্যেকেই উত্তর ২৪ পরগণার সন্তোষপুরের বাসিন্দা। এদেরকে হিউম্যান ট্রাফিকিং বা পাচার করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ৬ জনকে পাচারের অভিযোগে সইফ আলি মিয়া নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বাড়িও সন্তোষপুরে। তিনি আরো বলেন, আরপিএফের মাতঙ্গীনি স্কোয়ার্ড এই উদ্ধার করেছে। যার মধ্যে ছিলেন মহিলা অফিসার শুভ্রা দে।
জানা গেছে, এই ৬ জনের পরিবার আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া। সইফ আলি মিয়া এদের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে ৬ জনকে ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে নিয়েছিলো। কাজ করে দেওয়ার নামে তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো দিল্লিতে। তাদেরকে এদিন শিয়ালদহ স্টেশন থেকে নিউ দিল্লি গামী সম্পর্ক ক্রান্তি এক্সপ্রেসে চাপায় সইফ আলি মিয়া। প্রথম দিকে সবকিছু ঠিক ছিলো। কিন্তু আসানসোলে আগে মেয়েরা ট্রেনে কাঁদতে শুরু করে। তা দেখে ট্রেনের যাত্রীদের সন্দেহ হয়। তারা বুঝতে পারেন যে, একজন লোক ৬ জন মেয়েকে নিয়ে যাচ্ছে। এর পেছনে নিশ্চয় অন্য কিছু একটা আছে। এরপর তারা আরপিএফের মহিলা জওয়ানদের স্কোয়ার্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
আসানসোলে ট্রেনটি আসতেই শুভ্রা দের নেতৃত্বে আরপিএফের মহিলা জওয়ানরা নির্দিষ্ট কামরায় পৌঁছে যায়। ৬ জনের সঙ্গে ট্রেন থেকে নামানো হয় সইফ আলি মিয়াকে। আলাদা করে জেরা করার পরে আরপিএফ অফিসাররা বুঝতে পারেন এটা হিউম্যান ট্রাফিকিংয়ের ঘটনা। সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় সইফ আলি মিয়াকে। আরপিএফের তরফে ৬ জনের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। আরপিএফ নিশ্চিত যে, এদেরকে বিক্রি করা হতো দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে। এর পেছনে আন্তঃ রাজ্য চক্র রয়েছে।