রাণীগঞ্জে আচরণবিধি লংঘন ও করোনা বিধিনিষেধকে তোয়াক্কা না করার অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীদের বিরুদ্ধে
রাণীগঞ্জ, চরণ মুখার্জি ঃ প্রচারের একটু সময় বাড়লেও প্রচারের ময়দান ছাড়তে নারাজ সকল দলের প্রার্থীরা। তাই শনিবার ভালো আবহাওয়া থাকার বিষয়টি লক্ষ্য করে প্রচার ময়দানে জোর ব্যস্ত থাকতে দেখা গেল 93 নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী দীনেশ সোনিকে। এদিন তিনি বাঁকুড়া জেলার, শালতোড়ার বিজেপি বিধায়িকা চন্দনা বাউরী কে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচারে ব্যস্ত থাকেন। এ সময় রানীগঞ্জের 37 নম্বর ওয়ার্ডের কীর্তনীয়া পুকুর সংলগ্ন, কীর্তনীয়া পাড়া, এলাকায় পৌঁছে তাদের প্রচার সঙ্গী বিজেপি নেতা ডাক্তার বিজন মুখার্জি প্রার্থী দীনেশ সোনির সঙ্গে পৌঁছে এক অসহায় পরিবারের সদস্যকে এই নির্বাচন সমসাময়িক কালে বাড়ির জর্জর অবস্থার বিষয় লক্ষ্য করে, দুটি তিরপল দেওয়ার কথা জানান প্রার্থী ও বিধায়ক এর সামনে ডাক্তার বিজন মুখার্জি এধরনের কথা জানানোই নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন হচ্ছে বলে দাবি করেন বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরা।
এদিন তিনি রীতিমতো প্রচার কর্মসূচিতে শামিল হয়ে ওই অসহায় পরিবারের সদস্যদের বাড়ির ছাদন তৈরীর জন্য তিরপল দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেন। যা সকলে সমর্থন করেন। অন্য বিজেপি নেতারা, তিনি রীতিমতো নিজের নাম্বার দিয়ে যোগাযোগ করার জন্য বলেন ওই অসহায় পরিবারের সদস্যদের। এরপরই ফের বাড়ি বাড়ি প্রচার শামিল হতে দেখা যায় বিজেপি নেতা কর্মীদের, এদিন বিভিন্ন এলাকার পর হালদার বান,। এলাকায় পৌঁছে এলাকার বাসিন্দাদের মাস্ক স্যানিটাইজার ব্যবহারের জন্য জানালে, তারা সমোচ্চারিত ভাবেই জানিয়ে দেন মার্চের দরকার নেই তাদের মা রক্ষাকালী তাদের সহায়তা করবেন বলেই ধুতকারে উড়ান বিজেপির নেতা কর্মীদের কথাবার্তা।
এরপরই মোলডাঙ্গা অঞ্চলে পৌঁছে প্রচার চালান তারা। সেখানে তাদের প্রচার গাড়ি, টোটোর মধ্যে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া বাবুল সুপ্রিয়র, তৃণমূল বিরোধী গান চালিয়ে ভোট প্রচার করতেও দেখা যায় বিজেপি কর্মীদের। তৃণমূলের একশ্রেণীর কর্মীরা বিষয়টি লক্ষ্য করে হাতিয়া তলা এলাকায় বিজেপি কর্মীদের প্রচার চলার সময় শালতোড়ার বিধায়িকা চন্দনা বাউরির সামনে তাদের প্রচার গাড়ির মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের টোটো তে করে প্রচার চালানো প্রচার গাড়ি সেই স্থানে পৌঁছে খেলা হবে খেলা হবে গান মাইকে লাগিয়ে বিজেপির প্রচার গাড়ির পাশে পৌঁছে দাঁড়িয়ে যায় । মুহূর্তে উত্তেজনাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় এলাকায় যদিও পুলিশ প্রশাসনের নজরদারিতে মুহূর্তেই প্রার্থী দীনেশ শনির সাথে অন্য সকল সদস্যরা এলাকা ছাড়ে। এরই মাঝে বিজেপি প্রার্থীর প্রচার এসে ভোট প্রচার পিছিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে এলাকার উন্নয়ন স্তব্ধ রয়েছে বলে দাবি করার সাথেই বাঁকুড়ার নির্বাচনীয় মুখ খুললেন চন্দনা বাউরী।
37 নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী শম্পা রায়ের হয়ে প্রচারে এলেন বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী তনুজা চক্রবর্তী। শনিবার তিনি এক ঝাঁক বিজেপি মহিলা কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে প্রার্থী শম্পা রায় কে সঙ্গে করে বাড়ি বাড়ি প্রচার এ যান। বেশ কয়েকটি স্থানে পথসভা করে বিজেপিকে কেন বেছে নেবেন নির্বাচিত করবেন তার যৌক্তিকতা তুলে ধরেন মহিলা নেত্রী। তবে করোনার সময়কালে যখন নির্বাচনের দিন পরিবর্তন করা হচ্ছে, দিকে দিকে করোনার প্রকোপ যখন বাড়তে থাকছে, তখনই নিয়ম-নীতিকে তোয়াক্কা না করেই ব্যাপক সংখ্যায় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী এ ধরনের প্রচার চালাচ্ছেন কিভাবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।
এদিন প্রচার চলা কালীন বেশকিছু জন বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মুখে মাস্ক লক্ষ্য করা যায়নি, পাশাপাশি যে সংখ্যায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের নিয়ে প্রচার চালানোর কথা ছিল, তার থেকে কয়েক গুণ সংখ্যায় বেশি কর্মী সমর্থকদের নিয়ে প্রচার চালাতে দেখা যায় বিজেপির ওই মহিলা প্রার্থী কে। যদিও বিজেপির মহিলা নেত্রী এসব গুলিকে কোন তোয়াক্কা না করে শাসকদল তৃণমূল কে কটাক্ষের সুরে বিধেছেন । এদিন মহিলা নেত্রী দাবি করেন এই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি বহিরাগত, আর বহিরাগতদের নিয়ে তিনি ভোট লুট করাবেন বলেই দাবি করেছেন বিজেপি নেত্রী। যদিও তৃণমূলের এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি, তৃণমূল প্রার্থী রুপের যাদব ফোনে জানান এসব বিষয়ে তিনি কিছুই বলতে চান না,কে এলাকার মানুষ আর কে নয় সেটা এলাকার বাসিন্দারা জানিয়ে দেবেন।