পশ্চিম বর্ধমান জেলায় পরিবেশ বান্ধব শিল্প গড়ে তোলার আহ্বান রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগম চেয়ারম্যানের
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল, ২৫ জানুয়ারিঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলায় সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো পরিবেশ দূষণ। আর সেই কথা মাথায় রেখে জেলায় উদ্যোগপতিদের পশ্চিম বর্ধমানে পরিবেশ বান্ধব শিল্প গড়ে তোলার আহ্বান জানালেন রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগম ( ডাবলু বি আই ডি সি) ও রাজ্য শিল্প পরিকাঠামো উন্নয়ন নিগমের ( ডাবলু বি আই আই ডি সি) চেয়ারম্যান রাজীব সিনহা।
মঙ্গলবার দুপুরে আসানসোলের জামুড়িয়ার নিংঘায় ২ নং জাতীয় সড়ক লাগোয়া একটি বেসরকারি হোটেলের কনফারেন্স হলে সিআইআইয়ের উদ্যোগে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় শিল্প সম্ভবনাকে সামনে রেখে এক মিটের আয়োজন করা হয়। সেখানে জেলার শতাধিক শিল্প বা উদ্যোগপতি ও বিভিন্ন বনিকসভার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তাদের উদ্দেশ্যেই এমন আহ্বান জানান রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান।
মিটে রাজীব সিনহাকে জেলায় শিল্প করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার কথা বলেন শিল্পপতি ও বিভিন্ন বনিকসভার প্রতিনিধিরা। রাজীববাবু সব শুনে উপস্থিত থাকা জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদকে সমস্যার সমাধান করার নির্দেশ দেন। ইসিএল সংক্রান্ত বেশকিছু সমস্যাও এদিন সামনে চলে আসে। শ্রী সিনহা তার সমাধানে ইসিএলের সিএমডি প্রেমসাগর মিশ্রকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেন। যার মধ্যে অন্যতম হলো ইসিএলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প থেকে হওয়া অনেক সামগ্রী লাগে। কিন্তু ইসিএল সেইসব কিছু বাইরে থেকে নিয়ে নেয়। এখানকার শিল্পপতিরা তা জানতেই পারেননা। ইসকো কারখানার ক্ষেত্রেও তাই। এদিনের মিটে রাজীব সিনহা ইসিএলের সিএমডিকে এই ব্যাপারে বলায়, তিনি আশ্বাস দিয়ে জানান, আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি একটি অনুষ্ঠান করে এর বিস্তারিত জানানো হবে। রাজীবাবুর প্রস্তাব, চাহিদার ২৫ শতাংশ যেন এখানকার শিল্পপতিদের থেকে যেন নেওয়া হয়। এদিনের সভায় তিনি শিল্পপতিদের রাজ্যের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দপ্তরের বিশেষ সচিবের ফোন নম্বর দেন। বলেন, কোন সমস্যা হলে, তাকে ফোন করে জানাতে।
রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান বলেন, এই জেলায় পরিবেশ দূষণের সমস্যা আগেই থেকেই আছে। তাই এখানকার শিল্পপতিরা পরিবেশ বান্ধব শিল্প গড়ে তুলতে এগিয়ে আসুন। যারমধ্যে রয়েছে কৃষিজ শিল্প, গবাদিপশুর খাদ্য তৈরী, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, মৎস্য, পোল্ট্রি।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজীব সিনহা বলেন, বেসরকারি সংস্থা ১৫/১৬ একর করে যদি জমি নেয়, সেখানে ইন্ড্রাসট্রিয়াল পার্ক করা যাবে। শিল্প ক্ষেত্রে জলের একটা সংকট রয়েছে। তা মেটানোর জন্য ইসিএলের পরিত্যক্ত খনিতে যে জল জমে আছে, তা নেওয়া যেতে পারে। জমির চরিত্র বদল করা নিয়ে আসানসোল দূর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা আড্ডায় অনেক লাগছে বলে শিল্পপতিরা বলেছেন। জেলাশাসককে এইসব দেখে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক ডাঃ অভিজিৎ শেভালে, আড্ডার সিইও নীতিন সিঙ্গানিয়া ও পিএস মিশ্র।