আসানসোলে চাঞ্চল্য ঘরের ভেতরে পুড়ছিল গৃহবধূ, ওরা বলল খাসির চামড়া পুড়ছে, ধৃত ৪
বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ১০ ফেব্রুয়ারিঃ প্রকাশ্য দিবালোকে এক গৃহবধূকে ঘরের মধ্যে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠলো। বৃহস্পতিবার দুপুরের এই ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল দক্ষিণ থানার ধেমোমেনে। গোটা ঘটনার জেরে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে থাকার অভিযোগে মৃত গৃহবধূর স্বামী, শ্বশুর , শাশুড়ি ও ঐ পরিবারের এক জামাইকে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত গৃহবধূর নাম কাঞ্চন নুনিয়া (৩০) । তার বাপের বাড়ি আসানসোলের জামুড়িয়া এলাকায়। মৃত গৃহবধূর এক আত্মীয় বলেন, কাঞ্চনের বাবা খুবই গরীব। আমরা চাঁদা তুলে ওর বিয়ে দিয়েছিলাম। তবুও যতটুকু টাকা পারতো দিত ওর বাবা। কিন্তু চাহিদামত সেই টাকা দিতে না পারার কারণে সম্ভবত কাঞ্চনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে। তার চার মাসের ও বছর চারেকের একটি ছেলে আছে। বছর ছয়েক আগে কাঞ্চনের বিয়ে হয়েছিল মেনধেমোর বাসিন্দা সুধীর নুনিয়ার সঙ্গে।
মৃতার ভাই কেশব নুনিয়া বলেন, আমার বোনকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এই খবর পেয়ে আমি বোনকে দেখার জন্য যতবার ঘরের ভেতরে যেতে গেছি আমাকে ওরা মারধর করেছে। স্থানীয় বাসিন্দা লাখু নুনিয়া উত্তেজিত হয়ে বলেন, গৃহবধূকে খুন করা হয়েছে। এখানকার মানুষ যখন জিজ্ঞেস করেছিল কেন পোড়া গন্ধ আসছে ঘরের ভেতর থেকে ? তার উত্তরে ওরা বলেছিল খাসির চামড়া পুড়ছে। পরে সন্দেহ হওয়ায় আমরা জানতে পারি ওই ঘটনা। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দিই আমরাই।
প্রতিবেশীরা দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি ও মৃতার দুই শিশুর আগামী ভবিষ্যৎ কি হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রীতিমত চিৎকার চেচামেচি শুরু করে দেন। শেষ পর্যন্ত পুলিশ এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতরা মৃতার স্বামী সুধির নুনিয়া, শ্বশুর গুলাব নুনিয়া, শাশুড়ি মঞ্জু নুনিয়া ও জামাই অর্জুন নুনিয়া।
পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। শুক্রবার মৃতদেহর ময়নাতদন্ত করা হবে বলে জানা গেছে।