ASANSOL

পুলিশ কমিশনার অফিস ঘেরাও কংগ্রেসের, ধস্তাধস্তি, উত্তেজনা

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ১৮ ফেব্রুয়ারিঃ পুলিশ মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে আসানসোল পুরনিগমের নবনির্বাচিত কংগ্রেসের কাউন্সিলর ও প্রার্থীদের। এই অভিযোগ তুলে ও প্রতিবাদ জানিয়ে শুক্রবার সকালে আসানসোলের কুমারপুরে জিটি রোডের আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনার অফিস ঘেরাও করল পশ্চিম বর্ধমান জেলা কংগ্রেস। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় কংগ্রেস নেতা ও কর্মীদের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পুলিশ কমিশনারের অফিসের বাইরে। এই বিক্ষোভ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন জেলা সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী, ব্লক সভাপতি শাহ আলম ও প্রসেনজিৎ পুইতুন্ডি। কংগ্রেসের এদিনের আন্দোলনের জন্য পুলিশ কমিশনার অফিসকে ব্যারিকেড করে ঘিরে দেওয়া হয়। মোতায়েন করা হয়েছিলো বিশাল পুলিশ বাহিনী।


অভিযোগ ছিলো, গত ১২ ফেব্রুয়ারি রবিবার রাতে আসানসোল উত্তর থানা সংলগ্ন আসানসোল পলিটেকনিক কলেজের স্ট্রংরুমে এক ঘন্টা সিসি ক্যামেরা ছিল বন্ধ। তার জেরে স্ট্রংরুমের বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বিজেপি, কংগ্রেস সহ বিভিন্ন বিরোধী দলের প্রার্থী ও নেতারা। বিক্ষোভ সামলাতে গণনা কেন্দ্রে বাইরে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। গণ্ডগোল করার অভিযোগ বিরোধী দলের ৩১ জন সহ অন্যদের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। দশজন বিরোধী দলের প্রার্থী ও কংগ্রেস ও বিজেপির তিন জয়ী কাউন্সিলারকে অভিযুক্ত করা হয়েছে এই ঘটনায়।


তারই প্রতিবাদে এদিন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার অফিসে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানোর ডাক দেয় জেলা কংগ্রেস। জেলা সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী বলেন, কংগ্রেসের ৭ থেকে ৮ প্রার্থী ও দুজন জয়ী কাউন্সিলারকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে পুলিশ। শাসক দলের নেতারা যা বলছেন, পুলিশ তাই করছে। এই ঘটনায় আসানসোল উত্তর থানার ওসি ও সিআইয়ের অপসারণের দাবি তোলা হয় জেলা কংগ্রেসের তরফে। এদের মিছিল করে পুলিশ কমিশনার অফিসে কংগ্রেস নেতা ও কর্মীরা ঢুকতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। তাতে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত জেলা কংগ্রেসের পাঁচজনের এক প্রতিনিধি দল পুলিশ কমিশনার এন সুধীর কুমার নীলকান্তমের কাছে গিয়ে স্মারক লিপি জমা দেন। কংগ্রেস নেতৃত্বকে পুলিশ কমিশনার আশ্বাস দেন উপযুক্ত তদন্তের।
প্রসঙ্গতঃ, যে তিন বিরোধী দলের কাউন্সিলের নামে এফআইআর হয়েছে তার মধ্যে দুজন হলেন কংগ্রেসের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের এসএম মুস্তফা ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের গোলাম সরবর এবং অন্যজন হলেন ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির গৌরব গুপ্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *