রুপনারায়ণপুরের ফিজিওথেরাপিস্ট এর বাড়ি ফেরার পথে রহস্যজনক মৃত্যু শোকের ছায়া এলাকায়
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, দেব ভট্টাচার্য, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, কাজল মিত্র ও রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় : মর্মান্তিক পরিণতি হলো রূপনারায়ণপুরের সুপরিচিত ফিজিওথেরাপিস্ট সৌমেন পালের । বুধবার সৌমেনবাবুর দেহ উদ্ধার হলো সামডি থেকে এথোড়া দুই নম্বর জাতীয় সড়ক সংযোগকারী বাইপাস রাস্তার মাধাইচক এলাকায় । রূপনারায়নপুর সবজি বাজার সংলগ্ন সুপার মার্কেটে তার নিজস্ব ফিজিওথেরাপি সেন্টার আছে । অনামিকা পল্লীতে তাদের বাড়ি , তবে রূপনারায়নপুর আমডাঙ্গায় ভাড়া বাড়িতে পরিবারসহ তিনি থাকতেন ।
আসানসোল এস বি গড়াই রোডের একটি বিখ্যাত নার্সিংহোমে তিনি টেকনিশিয়ানের কাজ করতেন । সূত্র মারফত খবর গতকাল নার্সিংহোমের কাজ সেরে নির্দিষ্ট সময়ে বাড়ি না ফেরায় তার স্ত্রী নার্সিংহোমে যোগাযোগ করেন । কিন্তু দীর্ঘক্ষন সময় পেরিয়ে গেলেও তার খোঁজ না পেয়ে বিভিন্ন থানায় ও পরিচিত জনেদের মধ্যে খোঁজখবর শুরু করেন সকলেই । ওই নার্সিংহোমে চিকিৎসক নির্ঝর মাঝি নিজেও গাড়ি নিয়ে বের হন এবং পুলিশের সাথে যোগাযোগ করেন। কিন্তু রাতে তার কোন খোঁজ মেলেনি।
এদিকে বুধবার সকালে মাধাইচক এলাকায় তার দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় । তার বাইকটিও সেখানেই পড়েছিল বলে সালানপুর থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ পবিত্র গঙ্গোপাধ্যায় জানান । সালানপুর পুলিশ দেহ তুলে ময়না তদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠায় । দরদী যুবক হিসেবে সৌমেন বাবুর যথেষ্ট পরিচিতি ছিল এলাকায় । তিনি ও তাঁর ভাই এমনকি তাঁর বাবা খুব ভালো মূর্তি তৈরি করতে পারতেন। রূপনারায়ণপুর এ ফিজিওথেরাপি সেন্টার করার আগেই সময় বাবু দুর্গাপুরের একটি বড় বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করতেন তার স্ত্রী তাকে ফিজিওথেরাপি নিয়মিত সহযোগিতা করতেন। তিনি মূর্তি গড়াতেও দক্ষ ছিলেন। ।
কিন্তু কিভাবে তার মৃত্যু হল তা এখনো স্পষ্ট নয় ওই পরিবারের কাছে তার ভাই দীপেন পাল জানান সারারাত তাকে খুঁজে না পাওয়ায় সকালবেলা পুলিশ আমাদের খবর দেয় আমরা থানায় গিয়ে জানতে পারি তার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে । সূত্র থেকে জানা গেছে তার মাথাতে চোট আছে। তবে দুই নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে এথোড়া মোড় হয়ে সামডি আসার যে রাস্তা হয়েছে সেখানে পথচারীরা এখন ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ছেন বলে অভিযোগ আসে প্রায়ই। মাত্র তিনদিন আগেই রাত দশটা নাগাদ ডালমিয়া কোলিয়ারির রেললাইনের কাছে পরপর পাঁচজনের ছিনতাই হয় এরা অধিকাংশই নিজেরা কোলিয়ারি তে চাকরিতে যাচ্ছিলেন ।এক্ষেত্রে সৌমেন বাবু কোন ছিনতাইবাজের কবলে পড়েছেন কিনা সে বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে পুলিশের তরফে। পুলিশের পক্ষ থেকে অবশ্য ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এর জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।