বারাবনিতে প্রচারে গেলে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বিজেপি প্রার্থীর, বিধায়কের দ্বারস্থ, সোশাল মিডিয়ায় জবাব
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ১ এপ্রিলঃ দলের প্রাক্তন সাংসদের ( বর্তমানে কলকাতার বালিগঞ্জ বিধান সভা উপনির্বাচনের তৃনমুল কংগ্রেসের প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়) প্রসঙ্গ টেনে বারাবনি বিধান সভায় প্রচারে গিয়ে নিজের উপর হামলা ও আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করলেন আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল। সেই আশঙ্কার কথা বলতে তিনি শুক্রবার দ্বারস্থ হয়েছিলেন বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়ের। বারাবনির বিধায়ক বর্তমানে আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বা মহানাগরিক।
এদিন বিজেপি প্রার্থী আসানসোল পুরনিগমে দলের এক কর্মসূচিতে অংশ নিতে গেছিলেন। তখনই তিনি মেয়রের চেম্বারে গিয়ে এই আশঙ্কার কথা তাকে সরাসরি বলেন। আসানসোলের মেয়র তথা বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় তাকে আশ্বস্ত করছেন। এরপর তিনি নিজের ফেসবুক পেজে একটি লেখা পোষ্ট করে বিজেপি প্রার্থীর সমালোচনা করেন। একইসঙ্গে, সেই পোষ্টে তিনি বিজেপি, প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্র সরকারকে আক্রমন করেন।
এদিন বিজেপি প্রার্থী বলেন, আমাদের দলের প্রাক্তন সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, বর্তমানে যিনি তৃনমুল কংগ্রেসে আছেন ও রাজ্য সরকারের বন্ধু তিনি যতবারই বারাবনিতে গেছেন, বলতে গেলে ততবারই তার গাড়িতে ভাঙচুর হয়েছে। তা করেছে মেয়র বা বারাবনির বিধায়কের লোকেরা। তাই তার সঙ্গে দেখা করে আমি বলে গেলাম যে, বারাবনিতে আমি প্রচারে যাবো। তখন আপনার ছেলেরা যাতে আমাকে ডিসটার্ব না করে। ওনার ছেলেরা যদি ” এ্যাকশান ” করে তাহলে, আমার ছেলেরা তো ” রি- এ্যাকশান ” করবে। এর চেয়ে বেশি কিছু বলবো না। কারণ আমাকে ইতিমধ্যেই কমিশন শোকজ করেছে। তিনি আরো বলেন, এটা তো ঠিক যে ঐ দলটায় গুন্ডা ও বদমায়েশে ভরে গেছে।
বারাবনির বিধায়ক বলেন, এক হাতে তো আর তালি বাজেনা। উনি ভোটের প্রচারের মতো করে প্রচার করতে গেলে কোন কিছুই হবেনা। কেউ ওনাকে ডিসটার্ব করবে না। অন্য কোন উদ্দেশ্য থাকলে, এলাকার মানুষ যারা রাজ্য সরকার ও তৃনমুল কংগ্রেসের থেকে লাভ পেয়েছে তারা তো প্রতিবাদ করবেই। তার দাবি, এখনো পর্যন্ত যেখানে যা হয়েছে, তা তৃনমুল কংগ্রেসের ছেলেরা কিন্তু কিছু করেনি। যা করে, তা সাধারণ মানুষেরা করেছেন।
এই ঘটনার ঘন্টা কয়েক পরে এদিন বিকেলে বারাবনির বিধায়ক ” এমএলএ বিধান উপাধ্যায় ” ফেসবুক পেজে গোটা প্রসঙ্গে একযোগে বিজেপি প্রার্থী, কেন্দ্রের শাসক দল থেকে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমন করে একটি পোষ্ট করেন। যাতে তিনি আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে দলের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার পাশাপাশি কেন উপনির্বাচন হচ্ছে, তার কথাও বলেছেন। এও বলা হয়েছে, তৃনমুল কংগ্রেসের ছেলেরা মা ও বোনেদের আক্রমন করেনা।
তবে রামায়ণে লক্ষণের হাতে শূর্পনখার নাক কাটার কথা বলা হয়েছে। দিল্লির মহামানবের ৯ লক্ষ টাকার সুটের প্রসঙ্গ টানা হয়েছে এই পোষ্টে। সব শেষে বিধায়ক লিখেছেন, আপনাদের মানুষ মারবে না তাড়াবে, তা দিল্লিতে বসে মোদিজি বসে ঠিক করেন। কারণ তিনি তো সেখানে এসিতে সুপার সিকিউরিটি নিয়ে বসে আছেন। জবাব তো আপনাকেই দিতে হবে।
তবে, আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনের প্রাক্কালে এই তরজা একটা নতুন মাত্রা পেলো বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।