বারাবনিতে বিজেপির হোর্ডিং ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ, প্রচারের মধ্যেই থানায় অগ্নিমিত্রা পাল
বেঙ্গল মিরর, কাজল মিত্র/ রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মনোজ শর্মা, আসানসোল, ৬ এপ্রিলঃ আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক প্রচার যখন তুঙ্গে তখন তারই মধ্যে একের পর এক দলীয় পতাকা ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ আনছে বিজেপি। কিছুদিন আগেই আসানসোল শহরে তার হোডিং খোলা নিয়ে বিজেপির প্রার্থী অভিযোগ করেছিলেন। বুধবার আবারও আসানসোলের বারাবনি ব্লকে প্রচারে বেরিয়েও এমনই অভিযোগ অগ্নিমিত্রা পাল করলেন শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। যদিও শাসক দলের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
বুধবার সকাল থেকে বলতে গেলে সারাদিন ধরে বারাবনি ব্লকের বারাবনি বিধানসভার গিরমিন্ট, ভানোড়া, মাজিয়ারা, বারাবনি গেট, পুঁছড়া গৌরান্ডি সহ বিভিন্ন এলাকায় রোডশোর মাধ্যমে প্রচার করেন বিজেপির বিধায়িক তথা আসানসোল লোকসভা ভোটের প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল। তারই মধ্যে তিনি দেখেন বিভিন্ন স্থানে, হোর্ডিং, ব্যানার ও পোস্টার ছেঁড়া হয়েছে। প্রচারের মাঝে এই নিয়ে বারাবনি থানায় গিয়ে ওসির সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি জানান ও অভিযোগ করেন।
অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, বারাবনির বিভিন্ন এলাকায় ১২ টির মতো হোর্ডিং ছেঁড়া হয়েছে। সেগুলো ঠিক নির্দিষ্ট ভাবে মাঝখানে ছেঁড়া হয়েছে। এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাওয়ার কারণে এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছে তারা। আর এই ধরনের নোংরা কাজ করছে। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জমা দিয়েছি। পুলিশকেও জানালাম। তিনি আরো বলেন, হোর্ডিং ও ব্যানার ছিঁড়ে কি মানুষের মন থেকে বিজেপিকে মোছা যাবে। মানুষের মনের মধ্যে রয়েছে নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি।
এদিন অগ্নিমিত্রা পালের সঙ্গে ছিলেন রাজ্য নেতা বিশ্বপ্রিয় রায় চৌধুরী, যুব সভাপতি অরিজিৎ রায় ও সাধন রাউত।
যদিও বিজেপির তোলা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বারাবনি ব্লক সভাপতি অসিত সিংহ । তিনি বলেন, প্রার্থী ঘোষণার পরেই গোষ্ঠী কোন্দল শুরু হয়েছে। গোষ্ঠী কোন্দলের কারনেই ওই ঘটনা ঘটেছে। শুধুমাত্র তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করার জন্য এই অভিযোগ আনছে বিজেপি । তৃণমূল কখনো এই নোংরা রাজনীতি করে না। আর হোর্ডিং দেখার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। তারা দেখুক। জানা গেছে, বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ও প্রশাসন ।