আসানসোলে বুলডোজার দিয়ে স্কুল গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে তৃণমূলের বিক্ষোভ, শুরু রাজনৈতিক চাপান উতর
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় : পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের আসানসোলে বুলডোজার চালিয়ে ডুরান্ড কলোনিতে বিবেকানন্দ স্কুল ভেঙে ফেলার বিরুদ্ধে বুধবার সকালে রাস্তায় নেমে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস বিক্ষোভ দেখায়। আর এই স্কুল ভাঙা নিয়ে আসানসোলে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান উতর। বাকবিতন্ডায় জড়িয়েছেন তৃনমুল কংগ্রেস ও বিজেপির নেতারা। এদিন সকালে আসানসোল পুরনিগমের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর তথা আসানসোল নর্থ ব্লক (১) তৃণমূল সভাপতি গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ডুরান্ড কলোনির বিবেকানন্দ স্কুলের কাছে প্রথম বিক্ষোভ দেখানো হয়। এর পর শাসক দলের নেতা ও কর্মী সবাই মিছিল করে আসানসোল ডিআরএম অফিসে যান। সেখানে তারা স্কুল ভবন ভাঙার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান।
উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর শম্পা দাঁ,তৃণমূল নেতা ভানু বোস, ফানসভি আলিয়া, আশা প্রসাদ, গোপ হালদার, , মদন মোহন চৌবে, সুদীপ চৌধুরী, জয় চক্রবর্তী, শিবম কোনার সহ অন্যান্য । তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থকরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেন। পাশাপাশি তারা কেন্দ্রীয় সরকার এবং রেল মন্ত্রকের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন।এই ঘটনা নিয়ে গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায় কেন্দ্রের মোদী সরকারকে নিশানা করে বলেন, আমরা জানতাম যে কেন্দ্রের মোদী সরকার জনবিরোধী, কৃষক বিরোধী। কিন্তু রাতের অন্ধকারে যেভাবে একটি স্কুল ভেঙে ফেলা হল তাতে এই সরকার যে শিশুবিরোধী সেটিও এখন প্রমাণিত হল।
তিনি আরো বলেন , তৃণমূল কংগ্রেস কখনই এটি হতে দেবে না এবং এর বিরুদ্ধে তীব্রভাবে আন্দোলন করবে। এরই সঙ্গে, রেল পরিচালিত পূর্ব রেলওয়ের স্কুলগুলি বন্ধ করারও তীব্র বিরোধিতা করা হবে। এর পরে, গুরুদাস চ্যাটার্জির নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল এডিআরএম এম কে মীনার সঙ্গে দেখা করেন। তৃনমুল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তাকে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয় । পুরো বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এই প্রতিনিধিদল তাদের অবিলম্বে হস্তক্ষেপের আবেদন জানান যাতে প্রায় দুশোর ওপর শিশুর ভবিষ্যৎ অন্ধকারে তলিয়ে না যায়।পরে গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় বলেন যে , তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিনিধিদলের কথা শোনার পরে এডিআরএম তাদের আশ্বাস দেন যে তাদের কথা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। কিছু না হলে আগামী দিনে স্কুল বাঁচাতে তৃণমূল কংগ্রেস বৃহত্তর আন্দোলন করবে।
এদিকে এই প্রসঙ্গে আসানসোল রেলওয়ে ডিভিশনের জনসংযোগ আধিকারিক এসসি মণ্ডল বলেন, ডুরান্ড কলোনির ৫২ নং কোয়ার্টারের অবস্থা এতটাই জরাজীর্ণ যে এটি মেরামত করাও সম্ভব করা যেতো না। সেই কারণেই রেলওয়ে এটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেখানে একটি স্কুল বেআইনি ভাবে দখল করে চালানো হচ্ছিলো।
এদিকে এই স্কুল ভাঙা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান উতর। রেলের স্কুল ভেঙ্গে দেওয়া নিয়ে পক্ষে সওয়াল করেন বিজেপি নেতারা। বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় ও শঙ্কর চৌধুরী এদিন বলেন, আমরা যতদূর জেনেছি, একটি কোয়ার্টার দখল করে সেখানে বেআইনী ভাবে স্কুল চলছিলো। আদালতের নির্দেশ মতো রেল এই কাজ করছে। বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় আরো একধাপ এগিয়ে বলেন, আমরা চাই রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেসের মদতে রেল, সেল সহ কেন্দ্রীয় সরকারী সংস্থার জমি ও কোয়ার্টার দখল করে রাখা হয়েছে, তা দখল মুক্ত করা হোক। পাশাপাশি কারোর যদি কাগজ থাকে, তাহলে তারা যাতে পুনর্বাসন পায়, সেটাও আমরা দেখবো।
read also : Asani Cyclone कमजोर हुआ, कल बदल सकता है डिप्रेशन में
read also : Asansol चला रेलवे का बुलडोजर, स्कूल भवन किया ध्वस्त