Bengal Mirror

Think Positive

Bengal Mirror
RANIGANJ-JAMURIA

রানীগঞ্জের কৃষি প্রধান নুপুর এলাকায় দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে রানীগঞ্জ সমষ্টি উন্নয়ন দপ্তর

বেঙ্গল মিরর, রানীগঞ্জ, চরণ মুখার্জি ঃ বর্ষার মৌসুম আসার আগে ভাগেই রানীগঞ্জের কৃষি প্রধান নুপুর এলাকায় দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানের জন্য ইতিমধ্যেই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে রানীগঞ্জ সমষ্টি উন্নয়ন দপ্তর। প্রতিবারই চাষীদের বিভিন্ন অভিযোগ ও অভাব এর বিষয় লক্ষ্য করে প্রতি বছর লক্ষ্য লক্ষ্য টাকার ফসল নষ্টের বিষয়টি নজর রেখে 6 কিলোমিটার সেচ নালা সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে পশ্চিম বর্ধমানের ইরিগেশন ডিপার্টমেন্ট। সেই বিষয়ে কে নজর দেওয়ার সাথেই ও কাজের গতি প্রকৃতি কিরূপ ভাবে এগোচ্ছে সে বিষয়গুলো লক্ষ্য করতে শুক্রবার রানীগঞ্জের বল্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের, নুপুর গ্রাম এলাকায় জোড় পরিদর্শনে এলেন সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও পঞ্চায়েতের প্রধান উপপ্রধান ও সদস্যরা।

উল্লেখ্য এর আগে প্রতিবছরই অতিবৃষ্টির কারণে প্লাবিত হয় নুপুর এলাকার বিশাল পরিমাণ চাষযোগ্য জমি। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে এলাকার সেচনালা ও ক্যানেল গড়ে তুলে জল যাতে নির্দিষ্ট পথে যায় তার উদ্যোগ নিয়েছেন দপ্তর। প্রথম পর্যায়ে আনুমানিক তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই জল নিকাশি সেচনালা গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যা দ্বিতীয় পর্যায়ে 6 কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকা জুড়ে করা হবে বলেই জানিয়েছেন সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অভিক ব্যানার্জি তিনি এদিন প্রাথমিক পর্যায়ে 64 লক্ষ টাকা ব্যয় করে গড়ে ওঠা এই নিকাশি নালার নির্মাণ কাজ সরজমিনে খতিয়ে দেখতে এসে পৌঁছে চাষীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের অভাব-অভিযোগের বিষয়গুলি শোনেন

, চাষিরা জানিয়েছেন এই নিকাশি নালার তৈরীর সময় লকগেট নির্মাণ, কালভার্ট নির্মাণ ও ক্যানেলের দুই পাড়ের মাটি ড্রেসিং করার প্রয়োজন আছে যার ফলে ক্যানেলে জল বয়ে গেলেও মাটি ক্যানেল এর মধ্যে ঢুকে গিয়ে ক্যানেলের জল যাতায়াতের পথ বন্ধ করতে পারবে না, সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক এই সমস্যাগুলি কিভাবে দ্রুত সমাধান করা সম্ভব তা নিয়ে আলোচনায় বসবেন বলেই জানান। সেখানে এদিন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিনোদ নুনিয়া জানান সমস্ত কাজ চাই তিনি ঘুরে দেখেছেন, তবে কন্ট্রাক্টর যে কাজ করেছেন তার কাজে তিনি খুশি নন, মূলত রানীগঞ্জ শহর এলাকার জল রাজারবাধ জলাশয় দিয়ে আসার পর তা নালার মাধ্যমে নুপুর এলাকায় এসে পৌঁছলে ওই অংশের বিস্তীর্ণ জমি জলে প্লাবিত হয়। বৃষ্টির সময় বা অতি বৃষ্টির সময় এই বিষয় লক্ষ্য করা যায়। এর ফলে প্রতি বছরই কয়েক লক্ষ্য টাকার ফসল নষ্ট হয়।

এ বিষয়টি মাথায় রেখে চার ফুট গভীর ও 14 ফুট চওড়া এলাকায় প্রথম পর্যায়ে তিন কিলোমিটার এলাকায় সেচনালা গড়ে তোলা হচ্ছে, আর তা বর্ষার আগেই সম্পূর্ণ করার সাথেই, চাষীদের সমস্যাগুলো যাতে সমাধান হয় তা নিয়ে ঠিকা সংস্থার ভাবার প্রয়োজন রয়েছে বলেই জানিয়েছেন তিনি, তিনি জানান আগামীতে কিভাবে কৃষকদের সমস্ত সমস্যার সমাধান হয় সে বিষয়ে বৈঠক করে সমাধান সূত্র বার করবেন তিনি। এদিনের এই পরিদর্শন কর্মসূচিতে সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অভিক ব্যানার্জি ছাড়াও বিশেষভাবে ছিলেন, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিনোদ নুনিয়া, বল্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মমতা প্রসাদ, উপপ্রধান সিধান মণ্ডল স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ শিবরাম কারার, কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মলয় বাউড়ি ও পঞ্চায়েতের সদস্যরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *