DURGAPUR

Mamata In Durgapur : কোন অপরাধে অপরাধী, জানতে দিল্লি যাবো, কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে সংঘাতের সুর ছড়িয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে ঘোষণা

বেঙ্গল মিরর, দূর্গাপুর, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ ( Mamata Banerjee in Durgapur ) ১০০ দিনের কাজ ও বাংলার বাড়ি প্রকল্পে কেন্দ্র সরকার টাকা পাঠানো বন্ধ করেছে। আর এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এতদিন তিনি জনসভায় বলছিলেন। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলার প্রশাসনিক বৈঠক থেকেও সংঘাতের সুর ছড়ালেন। বুধবার দুপুরে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দূর্গাপুরের সৃজনী হলে দুই বর্ধমানের প্রশাসনিক বৈঠক হয়। একবারে শেষ মুহুর্তে নবান্নের মঙ্গলবারের নির্দেশ মতো এই বৈঠকে ভার্চুয়াল যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের সব জেলার জেলাশাসক ও জেলা পরিষদের সভাধিপতিরা।


সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী সব জেলার জেলাশাসকদের বলেন, বাংলার বাড়ি প্রকল্পে আর কারোর নাম নেবেননা ও তালিকা তৈরি করবেন না। কেন্দ্র সরকার টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। কোন অপরাধে আমাদের অপরাধী করা হলো, তা জানতে আমি দিল্লি যাবো। যতদিন না কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে, ততদিন রাজ্য সরকার বাংলার বাড়ি প্রকল্প করবে। তিনি বলেন, এমনকি গ্রামীণ রাস্তা তৈরীর টাকাও দিচ্ছে না। তাই আমরা ঠিক করলাম, গ্রামীন রাস্তা জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতি করবে। তারা বাংলার বাড়ি করবে না। আমরা সরাসরি তা করবো। এরজন্য আগের যে রাস্তা তৈরীর বরাদ্দ রয়েছে ৮০০ কোটি, তা থেকে বাড়ি হবে। মুখ্য সচিবের কাছ থেকে জেনে বলেন, এতে আমরা আরো ১২০০ কোটি টাকা দেবো। প্রতি বছর ১০ লক্ষ করে আগামী ৫ বছরে মোট ৫০ লক্ষ বাড়ি তৈরী করবো। জেলাশাসকদের বলছি, কেন্দ্র ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না। তাবলে, আমরা তো তাদের বসিয়ে রাখতে পারিনা। তাদের জব কার্ড আছে, তাদেরকে পঞ্চায়েতে কাজে লাগান।

পাশাপাশি তিনি পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিদের বলেন, এলাকায় এলাকায় যান। কেমন কাজ হচ্ছে দেখুন। মানুষের খবর নিন। তাদের কি সমস্যা জানুন। দুয়ারে সরকারের যে ক্যাম্প হচ্ছে সেখানে গিয়ে দেখুন। লক্ষীর ভান্ডারের টাকা নিতে অনেক ৬০ বছরের বেশি মহিলারা ক্যাম্পে চলে যাচ্ছেন। তাদের বলুন, ২৫ থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত এটা দেওয়া হয়। তাদেরকে বৃদ্ধ বা বার্ধক্য ভাতার আবেদন করতে বলুন।

মানুষের পাশে না, থাকলে, তারা ললিপফ ধরিয়ে দেবেন। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী পঞ্চায়েত ভোট যে কোন সময় হতে পারে বলে জানিয়ে দেন।
এদিনের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় দুই সংস্থার প্রসঙ্গ টেনে কেন্দ্র সরকারকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন ইডি ও সিবিআই দিয়ে অত্যাচার চালানো হচ্ছে। একটা মামলায় এক হাজার জনকে ডেকে পাঠানো হচ্ছে। কাউকে বাদ দেওয়া হচ্ছে না। এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কি?

Leave a Reply