আসানসোলের ছাত্রীকে ১৭ দিন পরে হরিয়ানা থেকে উদ্ধার করে পরিবারের হাতে তুলে দিলো পুলিশ
ভাইয়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়িছাড়া একাদশ শ্রেণির ছাত্রী
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্যঃ ( Asansol News in Bangla ) আসানসোলের রহমানিয়া হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে নিখোঁজ হওয়া ১৭ দিনের মাথায় হরিয়ানা থেকে উদ্ধার করে তার পরিবারের হাতে তুলে দিল আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে আসানসোল দক্ষিণ থানায় স্কুল ছাত্রীকে থানার ইনচার্জ কৌশিক কুন্ডু তার পরিবারের হাতে তুলে দেন। পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে এর জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন ।
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2024/05/img-20240520-wa01481045365085360283686-500x428.jpg)
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2024/09/img-20240909-wa00806721733580827251668.jpg)
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2024/12/fb_img_17339279922403722767543487143310-476x500.jpg)
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2022/07/IMG-20220708-WA0012-500x302.jpg)
ছাত্রীর নাম বেবি ফারহানা। সে আসানসোল দক্ষিণ থানার বুধা এলাকার বাসিন্দা। বেবির সঙ্গে গত ২১ জুন তার ছোট ভাইয়ের ঝগড়া হয়। তারপর বাড়ি থেকে সে রাগ করে বেরিয়ে চলে যায়। তার দাবি, সঙ্গে করে ফোন নিয়ে গেলেও ফোনে চার্জ ছিল না। এরপর তার পরিবারের সদস্যরা মেয়ের খোঁজ করে না পেয়ে আসানসোল দক্ষিণ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা করে পুলিশ তদন্তে নামে। করা হয় এফআইআরও।
এদিন উদ্ধার হওয়ার পর তার পরিবারের সদস্য ও আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর ইনচার্জ কৌশিক কুন্ডু বলেন, ঐ স্কুল পড়ুয়া সেদিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসানসোল থেকে রানিগঞ্জ হয়ে হাওড়ায় ট্রেনে করে পৌঁছায়। সেখানে এক যুবকের সাথে তার পরিচয় হয়। সে সেই যুবককে বলে তার বাড়ি বিহারের গয়ায়। তখন ঐ যুবক তাকে একটি প্ল্যাটফর্ম টিকিট কেটে গয়া ট্রেনে বসিয়ে দেয়। গয়াতেও পৌঁছানোর পরে একইভাবে তার সঙ্গে আরো এক যুবকের সাথে স্টেশনে পরিচয় হয়। তখন তাকে সে বলে তার বাড়ি কলকাতায়। তখন ঐ যুবক হাওড়াগামি একটি ট্রেনে তাকে চাপায়। কিন্তু বেবী সেই ট্রেন থেকে বিহারের সুলতানগঞ্জে নেমে যায় অন্য একজনের কথায়। এখান থেকে সে আবার ট্রেনে করেই জামালপুরে যায়। জামালপুর এসে থাকাকালীন কয়েক সেকেন্ডের জন্য সে তার ফোনটি চালু করে কারোর সাথে কথা বলে । সেই সময় তার ফোন আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ ট্র্যাক করে বুঝতে পারে সে কোথায় আছে।
আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ এরপর বিহার পুলিশের সঙ্গে করে। গোটা ঘটনার কথা বিহার পুলিশকে জানিয়ে জামালপুরে পৌঁছে যায় আসানসোল পুলিশ। এরপর পুলিশ অনেক খোঁজ খবর করে জানতে পারে যে একটি ছেলে তাকে জামালপুরের বাড়িতে একদিন রাখার পর হরিয়ানায় নিয়ে চলে গেছে। এরপর হরিয়ানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে আসানসোলের পুলিশ।
বিহারের যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ করে আসানসোলের পুলিশ রীতিমতো ধমক দিয়ে তাকে বলে যদি সে অন্য কিছু করে তাহলে তার গোটা পরিবারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তখন ঐ যুবক নিজেই হরিয়ানা পুলিশের কাছে পৌঁছায়। এরপর আসানসোল পুলিশ বৃহস্পতিবার মেয়েটিকে উদ্ধার করে নিয়ে ফিরে আসে।
বেবি ফারহান বলেন, আমাকে জোর করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হরিয়ানাতে । যদিও পুলিশের সন্দেহ, জামালপুরের ঐ যুবকটির সঙ্গে মেয়েটির কখনো হয়তো পরিচয় হয়েছিল। সে সঠিক জায়গা বুঝতে না পেরে একাধিকবার ট্রেনে করে জায়গা বদলেছে।