ASANSOLCOVID 19

জেলায় করোনার বাড়বাড়ন্ত, এ্যাক্টিভ রোগী ৭০০ ছুঁইছুঁই, প্রতিদিনই আক্রান্তর সংখ্যা ১০০ পার

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়, আসানসোল, ১২ জুলাইঃ ( Corona Update In Paschim Bardhaman) রাজ্যের অন্যান্য জেলার সঙ্গে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় করোনার বাড়বাড়ন্ত। জেলার আসানসোল শিল্পাঞ্চলে করোনার প্রকোপ নতুন করে বাড়ছে। গত তিনদিন পরপর করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ১০০ এর উপর চলে গেছে । বলতে গেলে প্রতিদিনই আক্রান্তর সংখ্যায় নতুন রেকর্ড হচ্ছে। রবিবার রাত পর্যন্ত জেলায় মোট এ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৭০০ ছুঁইছুঁই।

জেলায় মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা সিএমওএইচ ডাঃ ইউনুস খান বলেন, গত সাতদিনে জেলায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, ৬৭৫ জন। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ( শনিবার রাত থেকে রবিবার রাত পর্যন্ত) ১৪৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তার আগে দুদিন আক্রান্তর সংখ্যা ছিলো ১১৫ ও ১০৯ জন।

সোমবার বিকেলে আসানসোল জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, জেলা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে করোনা আক্রান্ত মোট সাতজন ভর্তি রয়েছেন। প্রসঙ্গতঃ, গত শুক্রবার রাতে আসানসোল জেলা হাসপাতালে করোনা আক্রান্তর মৃত্যু হয়েছে একজনের। পশ্চিম বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, চিত্তরঞ্জনের ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ৯ বছরের ছাত্রের করোনা ধরা পড়েছে। উল্লেখ্য, পশ্চিম বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে , জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এখনো পর্যন্ত ৪৩৩ জন মারা গেছেন।

এদিকে, সোমবারই আসানসোল পুরনিগমের বিজেপি কাউন্সিলরদের দলনেত্রী চৈতালি তেওয়ারি আসানসোল পুরনিগমের ১০৬ টি ওয়ার্ডেই করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য বিশেষ শিবির করার আবেদন করে মেয়র বিধান উপাধ্যায়কে একটি চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে তিনি বলেন, করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ও প্রিকিউসনারি বা বুস্টার ডোজ দেওয়ার জন্য এই শিবির করা হোক। তিনি আরো বলেন, ৫ জন কাউন্সিলারকে মেয়র পারিষদ করা হলেও, তাদের দপ্তর দেওয়া হয় নি। অবিলম্বে একজনকে স্বাস্থ্য দপ্তরের মেয়র পারিষদের দায়িত্ব দিয়ে এই কাজের তদারকি করতে বলা হোক।

প্রসঙ্গতঃ জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরই জানিয়েছেন, আসানসোল পুরনিগম এলাকায় এই পর্যায়ে করোনার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি জেলার মধ্যে। অন্যদিকে, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ নেওয়ার প্রতি অনীহা মানুষের মধ্যে অনেক বেশি। সময় পার হয়ে গেলেও ভ্যাকসিন কেউ নিচ্ছেন না। তাই স্বাস্থ্য দপ্তর আসানসোল পুরনিগম কতৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে, এই ব্যাপারে প্রচার চালাতে বলেছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্য কর্মীরা সমীক্ষা করে দেখছেন কারা এখনো দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ নেননি। এদিকে পুরনিগম সূত্রে জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে করোনা মোকাবিলায় যা যা করার তা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *