আসানসোলের কয়লা কারবারির বাড়িতে চললো গুলি, জখম এক আত্মীয়া, চাঞ্চল্য
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ ( Shootout in Asansol ) কয়লা পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরে, বর্তমানে জামিনে মুক্ত থাকা আসানসোল শিল্পাঞ্চলের কয়লা কারবারি জয়দেব মন্ডলের বাড়িতে চললো গুলি। শুক্রবার বিকেলে হওয়া এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা শিল্পাঞ্চল জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। মোট ২ রাউন্ড গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। সেই গুলিতে জয়দেব মন্ডলের এক আত্মীয়া জখম হয়েছেন বলে জানা যায়। ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল উত্তর থানার কন্যাপুর পুলিশ ফাঁড়ির ঠিক উল্টো দিকে সেনরেলের “এ ‘ ব্লকে। ১০/১২ ফুটের রাস্তার একদিকে পুলিশ ফাঁড়ি ও অন্যদিকে জয়দেব মন্ডলের বাড়ি। এমন একটা জায়গায় দিনেদুপুরে বাড়ির মধ্যে গুলি চলার ঘটনা অন্য মাত্রা দিয়েছে। জখম মহিলার নাম চৈতালি মন্ডল বলে আসানসোলের সেনরেল রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। দুটি গুলির মধ্যে একটি ঐ মহিলার কোমর ও একটি কোমর ও হাঁটুর মাঝে লাগে । বাড়ির মধ্যে ঐ মহিলাকে কে গুলি চালালো, তা অবশ্য সন্ধ্যা পর্যন্ত জানা যায়নি।




এদিন বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ চৈতালি মন্ডলকে সেনরেল রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালের এমারজেন্সি বিভাগের চিকিৎসক পরীক্ষা করে দেখেন, ঐ মহিলার শরীরে গুলি লেগেছে। চিকিৎসক পরীক্ষা করে দেখেন একটি গুলি কোমরে ও একটি গুলি কোমর ও হাঁটুর মাঝে লেগেছে। চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা করে, তাকে ওয়ার্ডে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। ইতিমধ্যেই হাসপাতাল থেকে খবর পেয়ে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ হাসপাতালে আসেন। খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছে যায় সাংবাদিকরাও। কিন্তু তারই মধ্যে পুলিশের উপস্থিতিতে হাসপাতালের পেছনের গেট দিয়ে গুলিবিদ্ধ চৈতালি মন্ডলকে সংবাদমাধ্যমের চোখ এড়িয়ে বাড়ির লোকেরা গাড়িতে বার করে নিয়ে চলে যান।
এই প্রসঙ্গে ঐ হাসপাতালের অপারেশন ম্যানেজার পূরবী তেনেজা বলেন, চৈতালি মন্ডল নামে এক মহিলাকে হাসপাতালে আনা হয়। পরীক্ষা করে দেখা যায়, তার শরীরে দুটি গুলি লেগেছে। আমরা তাকে ভর্তি কথা বলি। কিন্তু বাড়ির লোকেরা তাকে বার করে নিয়ে চলে যান। পুলিশ সেই সময় সেখানে ছিলো। তিনি আরো বলেন, কি করে গুলি লাগে, তা আমাদের জানানো হয় নি।
বাড়ির লোকেরা অবশ্য এই ঘটনা নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি।
আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ জানায়, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক মহিলাকে আনা হয়েছে খবর পেয়ে আমরা ঐ হাসপাতালে যাই। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির কারণ এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের ডিসিপি পদমর্যাদার এক আধিকারিক বলেন, ঠিক কি ঘটনা তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এলাকার বাসিন্দারা অবশ্য এই ঘটনা নিয়ে কিছু জানাতে পারেন নি। গোটা ঘটনাটি নিয়ে অবশ্যই রহস্য দানা বেঁধেছে।
প্রসঙ্গতঃ, কয়লা পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার সহযোগী হিসেবে বেশ কয়েক মাস আগে জয়দেব মন্ডলকে সিবিআই গ্রেফতার করেছিলো। বর্তমানে সে জামিনে মুক্ত আছে।