ASANSOL

আসানসোল আদালতে যুবকের তিন বছর কারাদণ্ড, শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতনে দোষী সাব্যস্ত

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ প্রতিবেশী পাঁচ বছরের এক শিশুকে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত যুবকের তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড হলো। শুক্রবার আসানসোল আদালতের এডিজে বা অতিরিক্ত জেলা জজ (২) শরন্যা সেন প্রসাদ প্রায় দু বছর ধরে এই মামলার শুনানি শেষে এই সাজা ঘোষণা করেন। আসানসোল দক্ষিণ থানা উষাগ্রামের গোয়ালপাড়ার বাসিন্দা সাজাপ্রাপ্ত যুবকের নাম বাপি স্বর্ণকার। এদিন বিচারক দোষী সাব্যস্ত যুবককে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ নং ও পকসো আইনের ৮ নং ধারায় তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০০০ টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেন। জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাস আরো অতিরিক্ত কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে সাজাপ্রাপ্ত যুবককে বলে বিচারক নির্দেশ দিয়েছেন।

court


শুক্রবার এই মামলায় সরকারি আইনজীবী বা পিপি তৃষ্ণা রায় বলেন, বাপি স্বর্ণকার নামে ঐ যুবক ও ৫ বছরের ঐ শিশু কন্যা আসানসোলের উষাগ্রামের গোয়ালপাড়া এলাকায় এক মহিলার বাড়িতে ভাড়া থাকতো। ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর বিকেল বেলা বাড়ির সামনে ঐ শিশু কন্যা খেলা করছিলো। সেই সময় বাপি স্বর্ণকার তারই প্রতিবেশী পাঁচ বছরের ঐ শিশুকন্যাকে একটি গলিতে টেনে নিয়ে যায়। সেখানে তার ওপর যৌন নির্যাতন চালায়। পরে পরিবারের সদস্যরা তা জানতে পারেন। ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে শিশুকন্যার মা আসানসোল দক্ষিণ থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ শিশুকন্যার আসানসোল জেলা হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষা করানোর পাশাপাশি অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে। ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৫৪ ও পকসো আইনে ৮ নং ধারায় একটি মামলা করেন তদন্ত শুরু করে। এই মামলায় মোট সাতজন সাক্ষী দেয়।


শুক্রবার অতিরিক্ত জেলা জজ (২) শরণ্যা সেন প্রসাদ রায় দিতে গিয়ে অভিযুক্ত বাপি স্বর্ণকারকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দন্ডিত করেন ও পাঁচ হাজার টাকার জরিমানা দেওয়ার কথা বলেন। সেই জরিমানা অনাদায় আরো ছমাসের জেলে থাকার কথা বলা হয়। সরকারি আইনজীবী বলেন, এছাড়াও বিচারক ৫০ হাজার টাকা শিশু কন্যার পরিবারকে লিগ্যাল এইড সার্ভিসের পক্ষ থেকে দেওয়ার কথা বলেছেন।
উল্লেখ্য, বাপি স্বর্ণকার প্রায় বছর দুয়েক ধরে জেলে আছে। সে জামিন পায়নি। তাকে জেলে রেখেই এই মামলার বিচার চলছিলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *