সোনিয়া গান্ধীকে EDর জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রতিবাদে আসানসোলে কংগ্রেসের বিক্ষোভ ও ধর্না
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকায় কথিত দুর্নীতির অভিযোগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দ্বারা দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর বিরুদ্ধে শুক্রবার আসানসোলের বিএনআর মোড় এলাকায় রবীন্দ্র ভবনের সামনে পশ্চিম বর্ধমান জেলা কংগ্রেস সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ ও ধর্না প্রদর্শন করা হয়। এই প্রসঙ্গে জেলা সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী বলেন, সোনিয়া গান্ধীকে যেভাবে ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে তা লজ্জাজনক।



তিনি বলেন যে এই সংবাদপত্রটির প্রকাশনা শুরু হয় ১৯৩৭ সালে। পন্ডিত জওহরলাল নেহরু এবং তৎকালীন কংগ্রেস নেতারা ভেবেছিলেন যে ভারতের স্বাধীনতার খবর পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়া উচিত। এরপর যখন ভারত স্বাধীনতা পায় তখন দেখা যায় ২০০০ সাল নাগাদ এই সংবাদপত্রের ঋণ ছিল ৯০ কোটি টাকা। যেহেতু এটি একটি ঐতিহাসিক সংবাদপত্র ছিল, তাই এটিকে বাঁচানোর জন্য কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি পদক্ষেপ নেওয়া হয় এবং ২০০২ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত কংগ্রেস এই সংবাদপত্রটিকে বাঁচানোর জন্য ১০০ কোটি টাকার ব্যবস্থা করে যার মধ্যে ৩৭ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল, বাড়ি ভাড়া ইত্যাদি বাবদ দেওয়া হয় এবং বাকি ৬৩ কোটি টাকা কর্মচারীদের বেতনের জন্য দেওয়া হয়।
সংবাদপত্রের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে কংগ্রেসকে এই টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলা হয়, যা কংগ্রেস নেতৃত্ব প্রত্যাখ্যান করেছিল। এর পরে, অ্যাসোসিয়েট জেনারেল নামে একটি সংস্থার জায়গায় ইয়ং ইন্ডিয়া নামে একটি সংস্থা গঠিত হয় এবং ইক্যুইটির মাধ্যমে, এই সমস্ত অর্থ ইয়াং ইন্ডিয়া নামে একটি সংস্থার অ্যাকাউন্টে জমা হয়। তিনি দাবি করেন যে এর ১ টাকাও কংগ্রেসের অ্যাকাউন্টে জমা হয়নি তবে ইক্যুইটির মাধ্যমে জমা করা হয়েছিল।
এই টাকাকে কেলেঙ্কারির নাম দিচ্ছে বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকার। তিনি প্রশ্ন তোলেন যে এটি যদি একটি কেলেঙ্কারী হয়, তাহলে ভোডাফোন কোম্পানি যখন ১৬ হাজার কোটি টাকার মামলার মুখোমুখি হয়েছিল এবং তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় আদালতের পাশাপাশি বিশ্ব আদালতে মামলা বিচারাধীন ছিল, তখন কীভাবে সেই টাকা ইক্যুইটির মাধ্যমে তাদের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত করা গেল ? তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস যদি কোনও অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারি করে থাকে, তবে এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারও দোষী।
বিক্ষোভ ও ধর্না মঞ্চে জেলা সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রসেনজিৎ পুইতুন্ডি, পামলু মজুমদার, এমডি এজাজ, পরেশ প্রসাদ, ইমতিয়াজ খান, বরুন কুমার মণ্ডল, বীরেন্দ্র গুপ্ত প্রমুখ।