ASANSOL

আসানসোল জেলা হাসপাতালে ৪ বছরে চালু করা যায়নি মেটারনিটি এন্ড চাইল্ড হাব, মুখ্যমন্ত্রীর কথায় নড়েচড়ে বসলো স্বাস্থ্য দপ্তর

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ ৪ বছরেরও চালু করা যায়নি আসানসোল জেলা হাসপাতালে প্রস্তাবিত বা পরিকল্পনা নেওয়া মেটারনিটি এন্ড চাইল্ড হাব। মুলতঃ মা ও শিশুদের জন্য একবারে আলাদাভাবে হয় এই হাব। ২০১৮ সালে যখন এই হাব তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিলো তখন বলা হয়েছিলো প্রসূতি বা মায়েদের জন্য যে ৬৬ বেড রয়েছে, তা বাড়িয়ে ১৭০ বেড করা হবে। একইভাবে শিশুদের জন্য ৪২ টি বেড বাড়িয়ে ৮০ টি করা হবে। সেই সময় এই হাব তৈরি করা নিয়ে আলোচনা করতে তৎকালীন রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিক জলি চৌধুরী আসানসোল জেলা হাসপাতালে এসেছিলেন। সব কিছু আলোচনার পরে পূর্ত দপ্তর বা পিডবলুডিকে একটি এস্টিমেট তৈরি করে স্বাস্থ্য দপ্তরে পাঠানো হয়েছিলো। তাতে বলা হয়েছিলো এই হাব তৈরি করতে আনুমানিক ৭ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা খরচ হবে। কিন্তু রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে তার অনুমোদন পাওয়া যায় নি।

ASANSOL DISTRICT HOSPITAL
ASANSOL DISTRICT HOSPITAL


চলতি জুলাই মাসে দূর্গাপুরে জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আসানসোল জেলা হাসপাতালে এই হাব তৈরি করা হয়েছে। আর এরপরই শোরগোল পড়ে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরে। আধিকারিকরা খোঁজ করে জানতে পারেন এই হাব তৈরির কাজ শুরুই হয়নি।
বর্তমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা সিএমওএইচ ডাঃ ইউনুস খান রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে এই ব্যাপারে যোগাযোগ করেন। তাকে বলা হয়, আসানসোল জেলা হাসপাতালে এই হাব তৈরির কোন পরিকল্পনা সেই সময় স্বাস্থ্য দপ্তরের ছিলোই না। তাই তার অনুমোদন দেওয়ার কোন প্রশ্নই নেই। এরপর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে ২০১৮ সালে স্বাস্থ্য আধিকারিকের পরিদর্শন, বৈঠকে আলোচনার তথ্য ও পিডবলুডির খসড়া ও নকশা সবকিছু রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরে পাঠানো হয়। তখনই বেরিয়ে আসে সবকিছু। এই প্রসঙ্গে সিএমওএইচ বলেন, পিডবলুডিকে দিয়ে নতুন করে ঐ হাবের জন্য একটি এস্টিমেট তৈরী করে স্বাস্থ্য দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তাতে খরচের পরিমান ধরা হয়েছে প্রায় ৮ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের চেয়ে সামান্য কিছু বেশি।

News Editor

Mr. Chandan | Senior News Editor Profile Mr. Chandan is a highly respected and seasoned Senior News Editor who brings over two decades (20+ years) of distinguished experience in the print media industry to the Bengal Mirror team. His extensive expertise is instrumental in upholding our commitment to quality, accuracy, and the #ThinkPositive journalistic standard.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *