ASANSOLDURGAPUR

আসানসোল – দূর্গাপুর পুলিশ তিন জন সাইবার অপরাধীদের গ্রেফতার করলো

প্রতারিত করে পাওয়া টাকা তুলতে শিল্পাঞ্চলের এটিএম ব্যবহার ঝাড়খণ্ডের

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ডে থাকা সাইবার অপরাধীরা প্রতারিত করা ব্যক্তিদের টাকা তোলার জন্য আসানসোল শিল্পাঞ্চলের এটিএম ব্যবহার করছে। একই সঙ্গে এসব টাকা তুলতে কমিশনের মাধ্যমে এজেন্ট নিয়োগ করছে সাইবার অপরাধীরা বলে আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ আধিকারিকদের অনুমান ।
আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের সাইবার থানা ও ডিডি যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে এমনই তিনজন এজেন্টকে গ্রেফতার করেছে। তাদের কাছ থেকে এটিএম কার্ড, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।


গ্রেফতার হওয়া তিনজনের মধ্যে রয়েছে ঝাড়খণ্ডের দেওঘর জেলার কারাওনের জামশেদ আনসারি, দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার ক্ষুদিরাম কলোনীর বাসিন্দা অর্ঘ্য মজুমদার ও শ্যামপুর কলোনির প্রমিত দাস। দুর্গাপুরের ধৃত দুই যুবকই কমিশনের মাধ্যমে টাকা তুলে মাস্টার মাইন্ডদের কাছে পাঠাত। পুলিশ এখন এই সাইবার চক্রের মূল পান্ডাকে ধরার চেষ্টা করছে ।


আরে জানা গেছে, এই সমস্ত এজেন্টরা দিনে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আয় করে থাকে টাকা তোলার বিনিময়ে। তাদের কাজ হল বিভিন্ন এটিএম কাউন্টারে গিয়ে টাকা তোলা। প্রথমে সাইবার অপরাধীরা প্রতারণার টাকা একটি নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে নিয়ে যায়। তারপর সেই টাকা দ্রুত অন্য অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করে নেওয়া হয়। এই যুবকদের ঐসব অ্যাকাউন্টের এটিএম কার্ড ও মোবাইল নম্বরের সিম দেওয়া হয়। যার মাধ্যমে টাকা ট্রান্সফার করা হয়। প্রতারিত করে পাওয়া টাকা ট্রান্সফার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের মোবাইলে মেসেজ চলে যায়। এরপর বিভিন্ন এটিএম থেকে টাকা তোলা শুরু করে তাদের নিয়োগ করা এজেন্টরা। পুলিশ ধৃতদের জেরা করে জানতে পারে যে, এজেন্টরা তাদের তোলা টাকার উপর ১১ শতাংশ করে কমিশন পায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *