West Bengal

মৃতদেহকে রেখে নিয়োগের দাবি জানিয়ে ডিভিসির সাব স্টেশনের গেটে বিক্ষোভ

বেঙ্গল মিরর, কাজল মিত্র:-মাইথন ডিভিসির ২২০ কেভি সাব স্টেশনে কর্মরত ক্যাজুয়েল কর্মী জামিরকুড়ি গ্রাম(রোড সাইডের)বাসিন্দা সুবল মল্লিকের মৃত্যুর পর পরিবারের লোকেরা বুধবার সাব স্টেশনের গেটের সামনে মৃতদেহ রেখে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে অবরোধ করলো।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানাযায় সাব স্টেশনের কর্মরত ক্যাজুয়েল কর্মী সুবল মল্লিক,বিগত ২৮শে জুলাই কাজের সময় হটাৎ করে তারা শরীর খারাপ হয়। তখন তড়িঘড়ি ডিভিসি বিপি নিয়োগী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।তারপর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ই.এস.আই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।সেখান থেকে তাকে দূর্গাপুরে বিবেকানন্দ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

কিন্তু মঙ্গলবার ৯ই আগস্ট রাতে হাসপাতালেই সুবল মল্লিকের মৃত্যু হয়।যার ফলে সুবল মল্লিক এর মৃতদেহ নিয়ে তার পরিবারের লোকেরা বুধবার কল্যানেশ্বরী অঞ্চলে অবস্থিত ডিভিসির সাব স্টেশনে গেটে মৃতদেহ রেখে বিক্ষোভ দেখায়।এর পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কুলটি থানার চৌরঙ্গী ফাঁড়ি পুলিশ ।এবং সেখানে আসেন সালানপুর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ভোলা সিং,ও দেন্দুয়া আঞ্চলিক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মনোজ তেওয়ারী সহ শ্রমিক সংগঠন নেতা সুনীল দুবে ।ঘটনার খবর দেওয়া হয় বারাবনি বিধায়ক তথা আসানসোল মেয়র বিধান উপাধ্যায়কেও ।তিনি খবর পেয়ে শোক প্রকাশ করে এবং ওই পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাসদেন।

তাছাড়া ডিভিসি আধিকারিকদের কাছে দাবি জানানো মৃত সুবল মল্লিকের পুত্র বিকাশকে ক্যাজুয়েল কর্মী হিসেবে নিয়োগ করতে।
এর পরে সকলে মিলে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ তথা ডিভিসির ডিসি(ইলেকট্রিক ট্রান্স)অভিজিৎ চক্রবর্তী,এসি নির্মল পাল সহ সাবস্টেশন ইনচার্জ পঙ্কজ কুমার মোদির সঙ্গে আলোচনা করেন।যেই আলোচনার মধ্যে লিখিত রূপে আবেদন করা হয় মৃত সুবল মল্লিকের পূত্র বিকাশ মল্লিকে ক্যাজুয়েল শ্রমিকে নিয়োগ করার।সেই আবেদন পত্রে ডিভিসির আধিকারিকরা স্বাক্ষর করেন এবং পরিবারের সদস্যদের জানান যেহেতু ডিভিসি হচ্ছে একটি সরকারি সংস্থা তাই দ্রুত নিয়োগ করা সম্ভব হবে না,কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যে সমস্ত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মৃত সুবল মল্লিকের পুত্র সন্তান বিকাশ মল্লিকে ক্যাজুয়েল শ্রমিকে নিয়োগ করা হবে।এই আশ্বাস পেয়ে বিক্ষোভ তুলেনেন পরিবারের সদস্যরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *