কয়লা পাচার মামলা : সওয়াল-জবাবে উঠলো লালার নাম, আবার ৮ ইসিএল কর্তার জামিন নাকচ
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ কয়লা পাচার মামলায় ধৃত ইসিএলের প্রাক্তন ও বর্তমান জিএম বা জেনারেল ম্যানেজার সহ আটজনের আবারও জামিন নাকচ হলো আসানসোল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে। মঙ্গলবার দু’পক্ষের আইনজীবীর সওয়াল-জবাব শেষে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী তাদেরকে আরো ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ৩০ আগষ্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে বিচারক জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ধৃতদের হেফাজতের মেয়াদ ৩৩ দিন পার করলো। পরবর্তী শুনানির দিন হেফাজতের মেয়াদ বেড়ে ৪৭ দিন হবে।
তবে এদিনের ধৃতদের তরফে জামিনের আবেদনের সময় আইনজীবীদের সওয়াল-জবাবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এই মামলায় মুল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার নাম উঠে আসা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আইনজীবী বলেন, ধৃতরা কয়লা চুরির অভিযোগ করলেও, তাতে লালার নাম না থাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। পাশাপাশি এদিনের শুনানিতে আইনজীবী আশীষ মুখোপাধ্যায় ধৃতরা কয়লা চুরি সংক্রান্ত যেসব অভিযোগ পুলিশ সহ বিভিন্ন জায়গায় করেছিলেন তার তথ্যও তুলে ধরেন। সবকিছু সাতটি ফাইলে বিচারকের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। সেই ফাইলে ইসিএলের ধৃত কর্তারা পদে থাকাকালীন ( ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল) কয়লা চুরি নিয়ে যেসব চিঠি দিয়েছিলেন, তা রয়েছে।
এদিন আশীষ মুখোপাধ্যায়, অমিতাভ মুখোপাধ্যায়, আশীষ কুমার, জগদীন্দ্র গাঙ্গুলি, অঙ্কিতা সেনগুপ্ত সহ অন্যান্য আইনজীবীরা যেকোন শর্তে মক্কেলদের জামিন দেওয়ার আবেদন করেন। তারা বলেন, এই মামলায় গত ১৯ জুলাই সিবিআই ৪১ জনের নাম সহ প্রথম বা যে সাপ্লিমেন্টারী চার্জশিট জমা দিয়েছে, তাতে আটজনের নাম আছে। তাদের বিরুদ্ধে চার্জও গঠন হয়েছে। তাহলে তাদের আর নতুন করে জেলে রাখা ও জিজ্ঞাসাবাদের কি প্রয়োজন আছে? আর এতদিন দিন জেল হেফাজতে থাকাকালীন এই মামলার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তকারী অফিসার তাদেরকে জেরা করে কি পেয়েছেন, তাও জানাননি।
সিবিআইয়ের তরফে এদিন এজলাসে তদন্তকারী অফিসার না থাকলেও, আইনজীবী রাকেশ কুমার এই আটজনের জামিন দেওয়ার আবেদনের বিরোধিতা করেন। এদিনও সিবিআইয়ের তরফে জেল হেফাজতে থাকার সময় মামলার তদন্তের জন্য ধৃতদের জেরা করার আবেদন করা হয়েছিলো। বিচারক সেই আবেদনও এদিন মঞ্জুর করেছেন।