ASANSOL

আসানসোলে জেলে অন্য বন্দীদের সঙ্গে ভাতের সঙ্গে পাঠার মাংস খেলেন অনুব্রত মন্ডল

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ ভাত, ডাল ও পাঁচমিশালী তরকারির সঙ্গে রবিবার পাঠার মাংস খেলেন গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়ে আসানসোল জেলে থাকা বীরভূমের তৃনমুল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। জেলে আসার পর এদিনই প্রথম তিনি মাংস খেলেন অন্যান্য বন্দীদের সঙ্গে। তাও আবার খাসির মাংস।
জেল সূত্রে জানা গেছে, এদিন সকাল পৌনে নটা নাগাদ তিনি ঘুম থেকে উঠেন । তারপর তিনি অন্যদিনের মতো চা বিস্কুট খান। দুপুরে ভাত, ডাল, তরকারির সঙ্গে মাংস খাওয়া। পরে বিকেলের টিফিনে ছিল চা ও মুড়ি।


শুক্রবারের পর অবশ্য শনিবার রবিবার তাকে তেমন ভাবে কোন ডাক্তার দেখানোর প্রয়োজন হয়নি বলে জানা গেছে। তার শরীরের সবকিছুই স্বাভাবিক আছে বলে জানা গেছে। তিনি ভালই আছেন। রাতে তাকে অক্সিজেন মাস্ক লাগিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে নানা ভাবে সাহায্য করছেন হাসপাতালের তার সঙ্গে ওয়ার্ডে থাকা অন্য তিন বন্দি। অনুব্রত মন্ডল যে ওয়ার্ডে আছেন, তার ঠিক পাশেই রয়েছে এই গরু পাচার মামলায় ধৃত তারই দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। সে সুযোগ পেলে পুরনো বসের খোঁজ রাখছে।


প্রসঙ্গত, সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর নির্দেশে গত ২৪ আগষ্ট থেকে অনুব্রত মন্ডল আসানসোলে বিশেষ সংশোধনাগার বা জেলে রয়েছে। এখানেই তাকে ১৪ দিন থাকতে হবে। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর তাকে আবার আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তোলা হবে। আদালতের নির্দেশ রয়েছে এই গরু পাচার মামলায় তদন্ত করতে সিবিআই প্রয়োজনে তাকে জেলে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। তবে এখনো পর্যন্ত গত ৫ দিন ধরে আসানসোল জেলে থাকলেও, সিবিআইয়ের তরফে কেউ আসেনি।
সোমবার সিবিআইয়ের একটি দল আসানসোল সংশোধনাগারে এসে অনুব্রত ও সায়গল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে বলে একটি সূত্র থেকে জানা গেছে ।


উল্লেখ্য গত, ১১ আগষ্ট বোলপুরের বাড়ি থেকে অনুব্রত মন্ডলকে গ্রেফতার করেছিলো। প্রথমে ১০ ও পরে ৪ দিন মোট ১৪ দিন অনুব্রত মন্ডলকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করেছে সিবিআই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *