Dengue : জেলায় ১০৯ আসানসোল পুরনিগম এলাকায় ৬৭
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলায় এখনো পর্যন্ত ১০৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত বলে সোমবার জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। আসানসোল পুরনিগম এলাকায় ডেঙ্গু আক্রান্তর সংখ্যা ৬৭ জন। আক্রান্তর সংখ্যা বাড়লেও, ,তবে, তা এখনই উদ্বেগজনক পরিস্থিতির দিকে যায়নি বলে সোমবার জানান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা সিএমওএইচ ডাঃ ইউনুস খান। একই বক্তব্য আসানসোল পুরনিগমের স্বাস্থ্য দপ্তরের মেয়র পারিষদ দিব্যেন্দু ভগৎ।
এদিন পুরনিগম সূত্রে জানা গেছে, এখনো পর্যন্ত আসানসোল পুরনিগম এলাকায় ৬৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। তারমধ্যে ৭ জন মাইগ্রেটেড আছেন বলে জানা গেছে। আসানসোল জেল ও বিশেষ সংশোধনাগারের দুজন বন্দী সম্প্রতি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও এমন কয়েকজন আছেন যারা দিল্লি, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও পুরুলিয়া থেকে এসেছেন বলে পুরনিগম সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে, ডেঙ্গুর ক্রমবর্ধমান প্রকোপ ঠেকাতে প্রস্তুত রয়েছে আসানসোল পুরনিগম কতৃপক্ষ। মেয়র পারিষদ বলেন, স্বাস্থ্যকর্মী নিযুক্ত করা হয়েছে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে দেখবে যে কোনও জল জমে আছে কি না। কারও বাড়িতে জ্বর আছে কি না। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে ডেঙ্গুর বাস্তবতা খুঁজে বার করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এইসব স্বাস্থ্যকর্মীদের। তিনি আরো বলেন, জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ মতো কাজ করা হচ্ছে।
সিএমওএইচ বলেন, দু সপ্তাহ আগেও পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ডেঙ্গু উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে ছিলো। বিশেষ করে আসানসোল পুরনিগম এলাকায়। জেলার মোট আক্রান্তর মধ্যে বেশিরভাগটাই আসানসোল পুরনিগম এলাকায়। তবে এখন পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গেছে। বেশ কয়েক দফায় আলোচনা ও বৈঠক করা হয়েছে।
কিন্তু, এত কিছুর পরেও দেখা যাচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মী যখন মানুষের বাড়িতে যাচ্ছেন, তখন মানুষের পক্ষ থেকে কোন সাড়া মিলছে না। অনেক সময় লোকজনেরা তাদের সাথে কথা বলতেও রাজি হচ্ছেন না। তারা দরজাও খুলছে না। কেউ কেউ তাদের সাথে কথা বলতে অস্বীকার করছেন এই বলে যে ওয়ার্ডে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা না থাকলে তাদের সাথে কথা বলে কি লাভ?
আসানসোল পুরনিগমের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে এমন ঘটনা ঘটেছে। ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোপা হালদার এদিন নিজেই স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে মানুষের বাড়িতে গিয়ে তাদের বোঝানোর উদ্যোগ নেন। তিনি মানুষের বাড়িতে গিয়ে তাদের বোঝান যে ডেঙ্গুর বিপদ রয়েছে। তারা তাদের ঘর পরিষ্কার করেন, জল জমতে না দেন, অন্তত ২ দিন অন্তর গামলায় থাকা জল পরিবর্তন করেন, রাতে ঘুমানোর সময়, মশারি ব্যবহার করেন। এভাবে ডেঙ্গু থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে গোপা হালদার মানুষকে সচেতন করেন। সাফাই ঠিক মতো না হওয়ার অভাবের অভিযোগ নিয়ে গোপা হালদার বলেন, এমন কিছু নয়। এটা বিরোধীদের আমাকে বদনাম করার ষড়যন্ত্র। তিনি বলেন, আমি নিজে সাফাই কর্মীদের সঙ্গে প্রতিদিন ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে সাফাই করাই । কখনও কখনও পরিষ্কার করতে দেরী হতে পারে। তবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা হয় সব সময়।