রানীগঞ্জে দশমীর দিন বাঁধভাঙ্গা আনন্দ উচ্ছ্বাস
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জি, রানীগঞ্জ: দীর্ঘদিনের প্রথা মেলে এবারো দূর্গা পূজার দশমীর দিন নবপত্রিকা বিসর্জনের সময় ব্যাপক আনন্দ উচ্ছ্বাসে মেতে উঠল খনি অঞ্চল রানীগঞ্জের হিন্দু ধর্মপ্রাণ মানুষজন। এলাকার ঐতিহ্যবাহী পুজো গুলির সাথে বারোয়ারী পূজা গুলিতেও দেখা গেল ব্যাপক ভক্ত সমাগম। এদিন রীতি মেনে সকলে একযোগে নবপত্রিকা বিসর্জনে সামিল হল। সিয়াসোলের বনেদি বাড়ির পূজা গুলির সদস্যরা বিগত দুটি বছর করোনার আবহে কাটালেও এবার কিন্তু বাঁধভাঙ্গা আনন্দ উচ্ছ্বাসে মেতে উঠল তারা।




বুধবার এলাকার সাতটি বনেদি বাড়ির পুজোর নবপত্রিকাকে দোলায় করে নিয়ে গিয়ে পন্ডিত পুকুরে বিসর্জনের আগে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র সহযোগে যুবক-যুবতীরা একে অপরকে আবিরের রাঙিয়ে দিল। চলল দেদার ঢাকের তালে নাচ। এওতিরা সিঁন্দুর খেলে একে অপরকে রাঙিয়ে দিল সিঁন্দুরে। বিস্তীর্ণ পথ জুড়ে নাচে গানে ওই হুল্লোড়ে মাতিয়ে তুলল পুজোর দোলা যাত্রা।
অনেকেই এই আনন্দমুখর সময়কে ক্যামেরাবন্দি করে রাখতে ভোলেনি। পুজোর সমগ্র প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে আবির খেলা, সিঁন্দুর খেলার ছবি, দেদার সেলফি তুলতে ব্যস্ত থাকলো অনেকে। দূর দূরান্ত থেকে এসে, পুজোর এই কয়েকটা দিন সকলে সামিল হয়েছে পরিবারের পুজোয়। তাই কোন মুহূর্তকে ক্যামেরাবন্দি করতে ভোলেনি কেউ। পারিবারিক পুজো গুলির সাথে বেশ কয়েকটি সার্বজনীন পূজা মন্ডপের নবপত্রিকা বিসর্জন পর্ব সম্পন্ন হয় এদিন। সপ্তমীর দোলা যাত্রার মত এ দিল বারটি দোলা এসে পৌঁছয় রানীগঞ্জের পন্ডিত পুকুরে। চলে বেদ মন্ত্র উচ্চারণ করে নবপত্রিকাকে বিসর্জনের পালা।