ASANSOL

আসানসোলে বিজেপির দুই জেলার সাংগঠনিক বৈঠক, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একযোগে আক্রমণ

সামনেই পঞ্চায়েত ভোট, দলকে চাঙ্গা করতে বৈঠক

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ বছর ঘুরলেই রাজ্য ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে তাই রাজ্যের অন্যতম বিরোধী দল বিজেপি নিজেদের ঘর গোছাতে তৎপর হয়েছে। তাই দক্ষিণ বঙ্গের অন্যতম দুটি জেলা আসানসোল ও পুরুলিয়ায় সাংগঠনিক বৈঠক মঙ্গলবার হলো আসানসোলে। বিজেপির জেলা কার্যালয়ে হওয়া দুই জেলার এই সাংগঠনিক বৈঠকে উপস্থিত হয়ে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বরা বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন।



এই বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক মঙ্গল পান্ডে। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতি মন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকার, পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় মাহাতো, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল ও লক্ষ্মণ ঘোড়ুই, রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়, জেলা সভাপতি দিলীপ দে, আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি।
পরে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় কটাক্ষ করে বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ” ডিসেম্বর ” ফোবিয়াতে ভুগছেন। কিছুদিন আগে তার মন্ত্রীসভার এক মন্ত্রী অখিল গিরি দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মুকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করার পর জঙ্গলমহল সহ রাজ্যের বিভিন্ন আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার বাসিন্দারা ক্ষোভে ফুসছেন। তারা অবিলম্বে ঐ মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছেন। মূখ্যমন্ত্রী ঘটনার গুরুত্ব বুঝে তড়িঘড়ি জঙ্গলমহলে দৌড়ে গেছেন।


অন্যদিকে অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, মুখ্যমন্ত্রী কৃষক দরদী প্রচার করেন। অথচ বাংলায় ১০০ এর বেশি কৃষক আত্মঘাতী হয়েছেন সে খবর তার কাছে নেই। বিদ্যুতের অভাবে সেচের কাজ থমকে রয়েছে। বিদ্যুৎ বিল না দিলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় না। অথচ পূজোর সময় পূজা কমিটিদের বিদ্যুৎ বিল মুকুব করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত যোজনার টাকা পাঠালেও সেই টাকা সঠিক ব্যাবহার করা হয় না। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে টাকা পাঠালেও ওষুধের অভাবে অনেকে মারা যাচ্ছে। সরকারের সেদিকে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে চারিদিকে বোমা ও অস্ত্র তৈরী করা হচ্ছে। অনুব্রত মন্ডলকে বাঘ বলে শিরোপা দেওয়া হচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন আসার আগে তড়িঘড়ি জঙ্গল মহলে মলম লাগাতে চলে গেছেন কিন্তু রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার পরে তাকে মন্ত্রী সভায় রেখে প্রমাণ করেছেন এর পেছনে তার প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে। বিজেপি বিধায়কের দাবি, বাংলার মানুষেরা এখন তৃনমুল কংগ্রেসের সঙ্গে নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *