KULTI-BARAKAR

কুলটিতে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদানে রাজনৈতিক আলোড়ন

বেঙ্গল মিরর, কাজল মিত্র :- রবিবার কুলটি বিধানসভার কুলটি ব্লকে এক যোগদান মেলায় সুকান্ত দাস নামের স্থানীয় তৃণমূল নেতা তৃণমূল ছেড়ে তার ২০০ জন অনুগামী নিয়ে কংগ্রেসে যোগদান করেন। দলে আগতদের হাতে কংগ্রেসের পতাকা তুলে দেন জেলা সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী। উল্লেখ‍্য সুকান্ত দাস রাজনৈতিক জীবনে প্রথমে কংগ্রেসের সদস‍্য ছিলেন। গত আটমাস আগে কংগ্রেস ছেড়ে তিনি তৃণমূলে যোগদান করেন। তবে আটমাস পার হতেই তিনি আবার কংগ্রেসে ফিরে এলেন।

এই বিষয়ে সুকান্ত দাস বলেন, তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সময় মনে হয়েছিল দলটি বোধহয় সত‍্যি করেই রাজনৈতিক সম্প্রিতী বজায় রেখে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে ও মানুষের প্রকৃত উন্নয়ণের জন‍্যে কাজ করবে। অথচ তৃণমূলে যোগ দিয়ে দেখলাম ওই দলে করে খাওয়া ছাড়া কিছু নেই। করো বাড়ি থেকে রাশি রাশি টাকা উদ্ধার তো কেও মক্ষীরাণী পরিবেষ্টিত হয়ে থাকেন। কেও গোরু চোর তো কেও কয়লা বা বালি । আসলে দলটা চোরেদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। স্থানীয় কুলটির মানুষদেরই সমস‍্যার সমাধান হচ্ছে না। তাই নিজের শিরদাঁড়া বজায় রেখে কংগ্রেসে ফিরে এলাম।

অন‍্যদিকে দেবেশ চক্রবর্তী বলেন,কুলটি বরাবরই কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি।আগে বহুবার এখান থেকে কাউন্সিলার বিধায়ক সাংসদ রা কংগ্রেসের পতাকায় জয়ী হয়েছেন। তাদের কেও ভুল বুঝে,প্রলোভনে পড়ে বা ভয়ে অন‍্যদলে নাম লিখিয়েছিলেন। পরে তাদের নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে অনেকেই ফিরে এসেছেন । এদিনের যোগদান পর্বে কুলটিতে কংগ্রেসের শক্তি বৃদ্ধি হলো।

অন‍্যদিকে তৃণমূলের কাউন্সিলার ও মেয়র পারিষদ সদস‍্য ইন্দ্রাণী মিশ্র বলেন, যিনি গেছেন, তিনি ত‍ৃণমূলের কোনো পদাধিকারী ছিলেন না। এক বছর আগে তৃণমূলে এসেছিলেন নিজের কিছু প্রত‍্যাশা নিয়ে। তা পূরণ না হওয়ায় তিনি আবার পুরানো অবস্থানে ফিরেছেন। তবে এক বছর আগে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে আসা আবার এক বছরের মধ‍্যেই তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে ফিরে যাওয়ায় তার রাজনৈতিক বিশ্বাসযোগ‍্যতা নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে। অন‍্যদিকে বিজেপির কুলটির নেতৃত্ব টিঙ্কু ভার্মা বলেন, তৃণমূল দলটা থেকে আসা যাওয়া লেগে রয়েছে। যারা অন‍্য দল ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েছিল, তারা হয় পুলিশ প্রশাসনের ভয়ে অথবা লোভে। কিন্তু আশা পূর্ণ না হওয়ায় তারা ফিরে যাচ্ছেন। আসলে তৃণমূলে এখন সবাই নেতা। তাই ভাগ বটোয়ারায় অসুবিধা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *