ASANSOL

বকেয়া ডিএ দিয়ে দেবে রাজ্য সরকার, হাসপাতালে সঙ্গে থাকা পুলিশ কর্মীদের আশ্বস্ত করলেন অনুব্রত মন্ডল

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ* তিনি রাজ্য সরকারের কোন পদে নেই। নির্বাচিত কোন জনপ্রতিনিধিও নন। দলের একটি জেলা সভাপতি থাকার পাশাপাশি রাজ্য সরকারের একটি সরকারি কমিটির মাথায় আছেন। বর্তমানে গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়ে গত ১০০ দিন ধরে আসানসোল জেলে রয়েছেন। তিনি হলেন অনুব্রত মন্ডল।


রবিবার সেই অনুব্রত মন্ডলই আসানসোল জেলা হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা করতে এসে সঙ্গে থাকা পুলিশ কর্মীদের আশ্বস্ত করে বললেন, রাজ্য সরকার তাদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেবে। যা শুনে তার মুখের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসেছেন পুলিশ কর্মীরা। তখন অনুব্রত মন্ডলের শরীরের বিভিন্ন পরীক্ষা করছিলেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীরা।
শুধু ডিএ দেওয়া নয়, আসানসোল জেলের বেশ কিছু সমস্যা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন অনুব্রত মন্ডল। তিনি নিজের থেকে কথা বলতে বলতে বলেন, এখন জেলে রয়েছি। কিছু করতে পারছি না। সব জেনেছি ও শুনেছি। জেল থেকে বেরিয়ে কিছু একটা অবশ্যই করবো।


বিরোধীরা সব সময়ই রাজ্য রাজনীতিতে অনুব্রত মন্ডলের ” স্ট্যাটাস ” নিয়ে সমালোচনা করেন। একজন জেলা সভাপতি হলেও, তিনি বরাবরই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃনমূল কংগ্রেসের সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ” স্নেহ ধন্য”। গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়র পরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার প্রিয় ” কেষ্ট” র পাশে দাঁড়িয়েছেন।
এহেন অনুব্রত মন্ডলের বকেয়া ডিএ নিয়ে মন্তব্য করা নিয়ে বিরোধী দলেরা আক্রমন করতে ছাড়ছেন না। তাদের বক্তব্য, এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, কেষ্ট মন্ডলের হাত কতদূরে রয়েছে?
শাসক দলের নেতারা অবশ্য অনুব্রত মন্ডলের এই কথা নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি।


এখন জেলে থাকলেও, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজের জেলায় কিভাবে বিরোধী দলকে মোকাবিলা করতে হবে, তার টোটকা বাতলে দিয়েছেন জেলা নেতৃত্ব ও বিধায়কদের। আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তার জামিনের যতো বার শুনানি হয়েছে, প্রতিবারই বীরভূমের দলের একাধিক নেতাকে দেখা গেছে। তারা দলের জেলা সভাপতির সঙ্গে কথা বলে জেলায় ফিরে গিয়ে নিচু তলার নেতা ও কর্মীদের বার্তা দিয়েছেন।


প্রসঙ্গতঃ, গত ১০ আগষ্ট গরু পাচার মামলায় সিবিআই বোলপুরের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে অনুব্রত মন্ডলকে। তারপর থেকে তিনি আসানসোল জেল বা বিশেষ সংশোধনাগারে রয়েছেন।
রবিবার তাকে তৃতীয় বার আসানসোল জেল থেকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *