ASANSOL

নির্যাতিতাকে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ, দোষীকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রথমে সহবাস। তারপর শারীরিক প্রতিবন্ধী নাবালিকার গর্ভবতী হয়ে পড়া। সন্তান জন্ম দেওয়ার পরেও বিয়ে করতে অস্বীকার করা।
শেষ পর্যন্ত দুবছরের বেশি সময় ধরে আসানসোল জেলা আদালতে এই মামলা চলার পরে শুক্রবার সাজা ঘোষণা করা হলো। বুধবার এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন বছর ২৯ এর যুবক গোবিন্দ বাউরি। সাজা পাওয়া যুবকের বাড়ি পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের কুলটি থানার লছমনপুরে। নাবালিকাও লছমনপুরের বাসিন্দা। এদিন আসানসোল জেলা আদালতের অতিরিক্ত জেলা জজ ( দ্বিতীয়) তথা স্পেশাল পকসো কোর্টের বিচারক শরণ্যা সেন প্রসাদ গোবিন্দ বাউরির ২০ বছরের সাজা ঘোষণা করেন।


এই মামলার সরকারি আইনজীবী বা পিপি তাপস উকিল এদিন বলেন, নাবালিকার বাবা ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে কুলটি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৭৬ নং ও পকসো আইনের ৪/৬ নং ধারায় মামলা করেছিলো। এই মামলায় ৪ জন চিকিৎসক সহ মোট ১১ জন সাক্ষী দিয়েছেন। পিপি আরো বলেন, সব সাক্ষ্যদান ও তথ্য প্রমানের দেওয়ার পরে গত বুধবার বিচারক অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। এদিন বিচারক সাজা ঘোষণা করেন। পকসো আইনের ৬ নং ধারায় ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

একইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা ক্ষতি পূরণ দিতে হবে। তা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাবাস হবে। পকসো আইনের ৪ নং ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা ক্ষতি পূরণ দিতে হবে। সেই ক্ষতি পূরণ অনাদায়ে আরো ৩ মাস কারাদণ্ড হবে। দুটি সাজা একসঙ্গে চলবে। পিপি আরো বলেন, বিচারক নির্যাতিতাকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতি পূরণ দেওয়ার জন্য ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল সার্ভিস বা ডিএলএসকে নির্দেশ দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *