আসানসোলে জেলা সাংগঠনিক বৈঠকে করতে এসে অকপট স্বীকারোক্তি মিঠুন চক্রবর্তীর
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ* ( Asansol News Today ) আসানসোলে দলের জেলা সাংবাদিক বৈঠক করতে এসে শনিবার অকপট স্বীকারোক্তি বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর। সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন,আমি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতাদির সবচেয়ে বড় ফলোয়ার। তিনি আরো বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার রাজনীতির গুরু। তিনি যা, যা করেছেন আমি আমি তাই তাই করেছি। এদিন সকাল বারোটার পরে তিনি বাঁকুড়া থেকে সরাসরি আসেন আসানসোলের ২ নং জাতীয় সড়ক ধাদকা মোড় সংলগ্ন বিজেপির জেলা কার্যালয়ে আসেন। তার সঙ্গে আসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সাংসদ ডঃ সুকান্ত মজুমদার।




দলের আসানসোল জেলা কমিটির সদস্য, মোর্চা ও মন্ডল সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠক করার আগে মিঠুন চক্রবর্তী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।
সেখানে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কংগ্রেস ছেড়ে তৃনমুল কংগ্রেস তৈরির প্রসঙ্গ টানেন। বলেন, উনি যখন কংগ্রেস করতেন, আমি তখন ছাত্র পরিষদ করতাম। তারপর উনি তৃনমুল কংগ্রেসে করেন। পরে সেখানে আমি যাই। এরপর মমতাদি সবার সাহায্য নিয়ে ক্ষমতায় আসেন। তার আগে তিনি বিজেপির সঙ্গে ১০ বছর ছিলেন। তারপর বিজেপির সঙ্গ ছাড়েন। আমি এখন বিজেপিতে।
সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে কয়লাখনি এলাকা সহ গোটা রাজ্যে কি হবে? তখন তিনি বলেন, শুধু পঞ্চায়েত নয়, যদি যেকোন ভোট ” ফ্রি এন্ড ফেয়ার হয়, তাহলে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে ও সরকার গড়বে। এই জন্য দলের নির্দেশে আমি জেলায় জেলায় যাচ্ছি ও গ্রামের মানুষদের কথা শুনছি ও সজাগ করছি পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে।
এদিন তাকে কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীর সঙ্গে একাধিক কয়লা মামলায় যুক্ত জয়দেব খাঁয়ের ছবি নিয়ে রাজ্য জুড়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তার দলের মুখপাত্র নই বলে প্রথমে এড়িয়ে যান। পরে তিনি বলেন, আমি যে এসেছি, কত লোকের সঙ্গে ছবি তুলেছি, হোটেলে থাকছি। কি করে আমি জানবো তারা কি করে। এটা নিয়ে অহেতুক রাজনীতি ও বিতর্ক করা হচ্ছে।
এদিন বিকেলে মিঠুন চক্রবর্তীর পান্ডবেশ্বর বিধান সভার
ঝাঁঝড়া কলোনিতে সভা করার কথা।