তিনটি পৃথক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ৫ জনের
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ: এয়ার ব্যাগ রক্ষা করতে পারল না গাড়ি চালককে। দু নম্বর জাতীয় সড়কে পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল এক মহিলা সহ গাড়ি চালকের। ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায় রানীগঞ্জের রানীসায়ের মোড় এলাকায় দু’নম্বর জাতীয় সড়কে আজ সকাল ছয়টা নাগাদ একটি চার চাকা গাড়ি পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা অভিমুখ থেকে বিহারের গয়া যাওয়ার পথে এক অজ্ঞাত যানের পেছনে ওই চারচাকা গাড়িটি ধাক্কা মারায় গাড়িতে থাকা গাড়ি চালক বছর ৩৫ এর হেমন্ত ঘোষ ও গাড়ির পেছনে সিটে থাকা বছর ৫৫ রেখা সাউয়ের পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়। গাড়ির মালিক কিশোর কুমার সাউ গুরুতর আহত অবস্থায় রানীগঞ্জের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি।
স্থানীয়দের দাবি গাড়ি চালক ঘুমিয়ে পড়ার কারণে সম্ভবত এই ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার খবর রানিগঞ্জ থানার পাঞ্জাবী মোড় ফাঁড়ির পুলিশ পাওয়ার পরপরই সকলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। কিশোর কুমার সাউ এর আঘাত কম থাকায় তাকে স্থানীয় রয়েল কেয়ার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানেই অপর দুজনকে জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে এদিন জামুড়িয়া থানার এলাকার শ্রীপুর মোড়ের কাছেই একটি ১০৯ গাড়ি বিকল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকার সময়, রবিবার সকাল পাঁচটা নাগাদ মেদিনীপুরের তমলুক থেকে মাছ বোঝাই করে আসা ৪০৭ গাড়ি আসানসোল ওই মুখে যাওয়ার পথেই ওই দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িকে সজরে ধাক্কা মারলে গাড়িতে থাকা বছর ৪৫ এর শেখ সাফিরুদ্দিন ও বছর ১৯ এর শেখ সাহিল মারা যায়।
শ্রীপুর ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সকলের সাথেই এই গাড়ির কেবিনে আটকে থাকা গাড়ির চালক শেখ সুকুবুদ্দিন কে ক্রে নের সাহায্যে গ্যাস কাটার দিয়ে গাড়ির কেবিন কেটে উদ্ধার করে চালককে। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদিকে জামুড়িয়া থানারই কেন্দা ফাঁড়ি এলাকায় অজ্ঞাত যানের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এক বছর ষোলোর পথচারী তামিম শেখের।
মৃত ওই কিশোর জামুড়িয়ার হিজলগড়া এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। পুলিশ রাস্তার ধারে ওই কিশোরের দেহ পড়ে থাকার বিষয়টি জানার পরেই কেন্দা পার্টির পুলিশ উদ্ধার করে দেহটি। স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান কোন অজ্ঞাতযানের ধাক্কাতে ওই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।