ASANSOL

করা হলো না জামিনের আবেদন, আরো ১৪ দিন আসানসোল জেলে থাকবেন অনুব্রত মন্ডল

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় / সৌরদিপ্ত সেনগুপ্ত : গরু পাচার মামলায় বৃহস্পতিবার আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে জামিনের আবেদন করা হলো না অনুব্রত মন্ডলের তরফে। এরফলে এদিন আসানসোল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী তাকে আরো ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। আগামী ১৯ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বিচারক আরো নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান অনুব্রত মন্ডলের আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ। তিনি আরো বলেন, বুধবারই কলকাতা হাইকোর্টে অনুব্রত মন্ডলের জামিন নাকচ করা হয়েছে। তাই এদিন আর নতুন করে নিম্ন আদালতে তার জামিনের আবেদন করা হয়নি। তিনি বলেন, এদিন ভোলেবোম রাইস মিলের ব্যাঙ্ক একাউন্ট ডি-ফ্রিজের আবেদন আগেই করা হয়েছিলো। এদিন তার পরিপ্রেক্ষিতে এই আবেদনের শুনানি আগামী ১৯ জানুয়ারি হবে বলে বিচারক জানিয়েছেন।


একইসঙ্গে এদিন আসানসোলেে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে সায়গল হোসেনের জামিনের আবেদনর শুনানি দিল্লির তিহার জেল থেকে ভার্চুয়াল করা হয়। তারও পরবর্তী শুনানি আগামী ১৯ জানুয়ারি বলে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী জানান।
এদিন বিচারকের অনুব্রত মন্ডলকে আবারও আসানসোল জেলে গিয়ে জেরার আবেদন করা হয়েছিলো সিবিআইয়ের তরফে। সেই আবেদনের ভিত্তিতে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা ৫ টা পর্যন্ত আসানসোল জেল বা সংশোধনাগারে গিয়ে জেরা করার অনুমতি দেন। এই প্রসঙ্গে অনুব্রত মন্ডলের আইনজীবী বলেন, বিচারক সিবিআইয়ের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। আইন মেনে তা সিবিআইকে করতে হবে বলে বিচারক বলেন।
এদিন সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ আসানসোল জেল থেকে আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে নিয়ে আসা হয় অনুব্রত মন্ডলকে। তবে এদিন তার জামিনের আবেদন করা না হওয়ায় শুনানি বেশিক্ষন হয়নি।


প্রসঙ্গতঃ, গত ১৯ ডিসেম্বর বীরভূম জেলা পুলিশের দুবরাজপুর থানার পুলিশ ২০২১ সালে বিধান সভা নির্বাচনের আগে দলের এক কর্মীকে মারধরের অভিযোগে হওয়া একটি মামলায় আসানসোল জেল থেকে অনুব্রত মন্ডলকে নিয়ে যায়। সেখানকার আদালত তাকে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত ১০ আগষ্ট সিবিআই গরু পাচার মামলায় বীরভূমের তৃনমুল কংগ্রেসের জেলা সভাপতিকে গ্রেফতার করছিলো। তিনি ১৪ দিন দুদফায় সিবিআইয়ের হেফাজতে ছিলেন। তারপর গত ২৪ আগষ্ট থেকে অনুব্রত মন্ডল আসানসোলে জেলে রয়েছেন। এরপর বেশ কয়েকবার সিবিআইয়ের অফিসাররা জেলে গিয়ে তাকে জেরা করেছেন। গত ১৭ নভেম্বর ইডির অফিসাররাও জেলে গিয়ে তাকে ৫ ঘন্টা জেরা করেছিলেন। জেরায় সহযোগিতা না করায় ইডি তাকে শোন এ্যারেষ্ট করে দিল্লি নিয়ে যেতে চায়। দিল্লির রাউস কোর্ট থেকে তার জন্য প্রোডাকশন ওয়ারেন্টও জারি করা হয়েছিলো। কিন্তু তারই মধ্যে দুবরাজপুর পুলিশ তাকে অন্য মামলায় নিজেদের হেফাজতে নেওয়ায় ইডি সেই নির্দেশ কার্যকর করতে পারেনি। যদিও বুধবার দিল্লি হাইকোর্ট সেই প্রোডাকশন ওয়ারেন্টের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে। তার পরবর্তী শুনানি আগামী ৯ জানুয়ারি হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *