ASANSOL

আসানসোলে পরিত্যক্ত পাথর খাদানে চারটি মৃতদেহ, এলাকায় চাঞ্চল্য

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্যঃ* পরিত্যক্ত পাথর খাদানের জলে ভাসছে চারটি মৃতদেহ। রবিবার বিকেল সাড়ে চারটের পরে এই ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পরে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল উত্তর থানার আসানসোল পুরনিগমের ১৪ নং ওয়ার্ডের কাল্লার গাড়ু পাড়া এলাকা চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ এলাম আসে। পরে আসে জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর বা ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের বিশেষ উদ্ধারকারী দল। কিন্তু সন্ধ্যা হয়ে অন্ধকার নেমে আসে। তাই অনেক গভীর খাদানে উদ্ধারকারী দল নামতে পারেনি। গোটা এলাকায় আলো লাগানোর কাজ চলছে।


প্রাথমিক ভাবে তদন্ত ও জলে দেখে পুলিশের অনুমান, চারটি মৃতদেহর মধ্যে দুটি বাচ্চা, একজন পুরুষ ও একজন মহিলা আছেন। কি করে তারা সেখানে পড়ে গেলেন, তাও পরিষ্কার নয়। এই খাদানোর পাশ দিয়ে রাস্তা আছে। অনুমান করা হচ্ছে, এই চারজন মোটরসাইকেল করে যাচ্ছিলো। তখন পড়ে গিয়ে থাকতে পারে। বা অন্য কিছু হতে পারে বলে পুলিশ মনে করছে। যদিও পুলিশ জানায়, এই এলাকা বা তার আশপাশের গত কয়েক দিনে চারজন মিসিং বা নিখোঁজ রয়েছে এমন কোন খবর তাদের কাছে নেই।


অন্যদিকে, আসানসোল পুরনিগমের ১৪ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর উৎপল সিনহা বলেন, এদিন বিকেলের পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে এলাকায় আসি। দেখি গভীর পাথর খাদানের জলে ভাসছে চারটি মৃতদেহ। সঙ্গে সঙ্গে থানায় জানাই। তারপর পুলিশ আসে। আমার কাছে এমন কোন খবর নেই যে, এই এলাকায় চারজন নিখোঁজ রয়েছে। গোটা বিষয়টি পুলিশ দেখছে। আমরাও দেখছি। মৃতদেহগুলি কি করে উদ্ধার করা যায়, তার দেখা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন এই এলাকাটি খুবই বিপজ্জনক। কিছুদিন আগেই এই খাদান থেকে এক কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিলো। আমি পুলিশ প্রশাসনের কাছে, গোটা এলাকায় ফেনশিং বা ঘিরে দেওয়ার দাবি করেছি।


অন্যদিকে, পশ্চিম বর্ধমান জেলার ডিপিআরডিও বা জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের আধিকারিক তমোজিৎ চক্রবর্তী বলেন, পাথর খাদানের জলে মৃতদেহ রয়েছে এমন খবর পুলিশের কাছ থেকে পাওয়ার পরে উদ্ধারকারী দলকে এলাকায় পাঠানো হয়েছে। তারা সেখানে আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *