মুখ্যমন্ত্রীর আশংকা রানীগঞ্জ অঞ্চলে হতে পারে যোশীমঠের রকম বিধ্বংসী ধস, খনি অঞ্চলে আতঙ্ক
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জি, রানীগঞ্জ :: উত্তরাখণ্ডের যোশী মঠে ধস প্রসঙ্গ নিয়ে এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন তিনি সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেন যোশী মঠে যে রকম বিধ্বংসী ধস লক্ষ্য করা গেছে সে রুপ ধস আমাদের রাজ্যের রানীগঞ্জ কয়লা অঞ্চলে হতে পারে। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে উঠেছে বিভিন্ন কথা মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য ঘিরে এখন খনি অঞ্চলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
অনেকেই মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবি একেবারেই নস্যাৎ করেছেন, তাদের দাবি দীর্ঘ একটা সময় এরূপ খনি অঞ্চলে কাটালেও পাহাড় অঞ্চলে যেভাবে ধসের ঘটনা ঘটে এখানে তা কখনই লক্ষ করা যায়নি। আর এখানে ধস ভূগর্ভস্থ কয়লা খনি র ভেতরের অংশের কয়লা কেটে নেওয়ার জন্য হয়। যার জন্য মাটি ভরাট করে এলাকাকে পুনরায় বসবাস করার যোগ্য করে তোলা যেতে পারে তাদের দাবি ফেডারেশন অফ সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ চৈতানের। তর দাবি বারংবার ভূমিকম্পের পরও অন্য সকল এলাকাতে প্রভাব পড়তে দেখা গেল ভূমিকম্পের প্রভাব লক্ষ্য করা যায় না। সেরূপভাবেই পাহাড়ের ধসের ঘটনার সঙ্গে খনি অঞ্চলে ধসের ঘটনা অনেকটা ফারাক রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
সেখানে এদিন আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ তথা সিটুর জেলা সম্পাদক বংশগোপাল চৌধুরী দাবি করেছেন সমস্ত বিষয়টাই বিজ্ঞানীদের গবেষণার বিষয় এ নিয়ে অহেতুক মন্তব্য করা উচিত নয়। যদিও এলাকার বাসিন্দারা এই বক্তব্যের পর অনেকটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন আগামীতে কি সিদ্ধান্ত নেবে সরকার তা নিয়েই সন্ধিহান সকলে।