ASANSOL

মুম্বাই মেল থেকে গ্রেফতার ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্যঃ* সুপারফাস্ট মুম্বাই মেল থেকে গ্রেফতার করা হলো এক ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক বা টিটিই। তার কাছ থেকে চলতি বছরেই ইস্যু করা একটি পরিচয়পত্র বা আইডেনটিটি কার্ড। ধৃতর নাম অজিত বিশ্বকর্মা। তার বাড়ি ঝাড়খণ্ডের পালামৌ জেলায়। মঙ্গলবার সকালে তাকে পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের সীতারামপুর ও বরাচক স্টেশনের মাঝে প্রথমে আটক করে চীফ ইন্সপেক্টর অফ টিটিই মহঃ জাহিদ আখতারের নেতৃত্বে একটি টিকিট পরীক্ষকদের দল। বুধবার ধৃতকে আসানসোল আদালতে তোলা হবে বলে আসানসোল রেল পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।


রেল সূত্রে জানা গেছে, এদিন সকালে আসানসোলের বরাকর স্টেশন থেকে আসানসোল গামী সুপারফাস্ট মুম্বাই মেলে টিকিট পরীক্ষার কাজ করছিলেন মহঃ জাহিদ আখতারের নেতৃত্বে টিকিট পরীক্ষকদের একটি দল। তারা ট্রেনে অজিত বিশ্বকর্মার কাছ থেকে একটি জেনারেল টিকিট পান। যেটি জাপলা থেকে রানিগঞ্জ পর্যন্ত ছিলো। মহঃ জাহিদ আখতার বলেন, সুপারফাস্ট ট্রেনে জেনারেল টিকিটে ভ্রমণ করা যায় না। তাই তাকে ২৬৫ টাকা ফাইন দিয়ে টিকিটটি সুপারফাস্ট করতে বলা হয়। তখন সে বলে, আমি টিটিই। আসানসোলে ডিভিশনে পোষ্টিং পেয়েছি। বুধবার কাজে যোগদান করতে রানিগঞ্জে যাচ্ছি। সেখানে আমার প্রশিক্ষণ হবে। প্রমাণ হিসাবে তার কাছে কি আছে জানতে চাইলে, সে আমার একটা পরিচয়পত্র বা আইডেনটিটি কার্ড দেয়। তাতে দেখি সেটি আসানসোল ডিভিশন থেকে ইস্যু করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, তখন আমার সন্দেহ হয়। কারণ টিটিইদের প্রশিক্ষণ রানিগঞ্জে হয়না। তা হয় ধানবাদের কাছে ভুলিতে। আর প্রশিক্ষনের আগে, কাউকে পরিচয়পত্র দেওয়া হয়। তা দেওয়া হয় একবারে প্রশিক্ষণের শেষে। এরপর আরপিএফের ওয়েষ্ট পোস্টে গোটা ঘটনার কথা জানানো হয়। আসানসোল স্টেশনে ট্রেনটি এলে অজিত বিশ্বকর্মাকে আরপিএফ আটক করে।


চীফ ইন্সপেক্টর অফ টিটিইর পক্ষ থেকে এই নিয়ে একটি এফআইআর করা হয়। কিন্তু আরপিএফ এই ধরনের ঘটনায় কোন মামলা করতে পারেনা। তাই তা জানানো হয় আসানসোল রেল পুলিশকে। ঐ পরিচয়পত্র যে ভুয়ো, তার কোন প্রমাণ না থাকায় রেল পুলিশ তা নিতে অস্বীকার করে। পরে পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের পার্সোনাল অফিসার লিখিতভাবে রেল পুলিশকে জানান, এই পরিচয়পত্র ভুয়ো। এমন কোন পরিচয়পত্র ইস্যু করা হয়নি। এরপরই আসানসোল রেল পুলিশ এফআইআর করে ঐ যুবককে গ্রেফতার করে। করা হয় মামলা।
জানা গেছে, প্রাথমিক জেরায় ধৃত যুবক জানিয়েছে, এক ব্যক্তি ৬০ হাজার টাকা নিয়ে তাকে এই পরিচয়পত্র দিয়ে রানিগঞ্জে আসতে বলেছিলো। রেল পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *