অনুব্রত মণ্ডল ১১ দিনের জন্য আবারও ইডি হেফাজতে ,১২ জনকে দিল্লিতে তলব
বেঙ্গল মিরর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দোপাধ্যায় : গরুপাচার মামলায়, অনুব্রত মণ্ডলের ১১ দিনের ইডি হেফাজত। আগামী ১১ দিনের জন্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হেফাজতে থাকবেন অনুব্রত মণ্ডল। শুক্রবার দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউয়ের সিবিআই আদালত এই নির্দেশ দেয়। শুক্রবার তার তিন দিনের ইডি হেফাজত শেষ হওয়ার পর অনুব্রতকে আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির হেফাজত বাড়ানোর নির্দেশ দেন। অনুব্রত মণ্ডলকে ২১ শে মার্চ আবার আদালতে হাজির করা হবে। পাশাপাশি ইডি মামলার তদন্তের জন্য ১২ জনকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে দিল্লিতে ডেকেছে।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, অনুব্রতকে হেফাজতে নেওয়ার পর এই তিন দিনে তাঁকে বিশেষ জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেনি তদন্তকারীরা। তাই তৃণমূল নেতাকে আরও কয়েকদিন নিজেদের হেফাজতে রাখতে চায় ইডি। তদন্তকারীদের একটি সূত্রের মতে, গরু পাচারের টাকা কোথায় গেল তা নিয়ে এখনও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। গরু পাচার মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে যে নথি এসেছে তার ভিত্তিতে অনুব্রতকে জেরা করা দরকার। গরু পাচার মামলায় মাথা হলেন এনামুল হক। দেহরক্ষী সেহগাল হুসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাপ্ত তথ্য ও নথির ভিত্তিতে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সূত্রের দাবি, বিশেষ করে অনুব্রত মণ্ডলের এত বিপুল সম্পদ কোথা থেকে এসেছে, তার নথি দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে দিল্লিতে ডেকেছে ইডি। অনুব্রতর ব্যক্তিগত হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিসহ অনেককে ডাকা হয়েছে। ইডি সূত্রের দাবি, অনুব্রত ও সুকন্যাকে সামনাসামনি জেরা করা হতে পারে। এর আগে অনুব্রতকে গ্রেফতারের পর সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুকন্যাকে দিল্লিতে ডেকেছিল। সিবিআই সূত্রের দাবি, সেই সময় যখন তাঁকে তাঁর বিপুল সম্পদের কথা জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তখন তিনি এই প্রশ্নটিও এড়িয়ে যান। বলেন যে তার বাবা এবং হিসাবরক্ষক সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। ইডি তদন্তকারীদের সূত্রের খবর, এ বার বাবা-মেয়েকে সামনাসামনি জেরা করা হলে এই রহস্য অনেকটাই ফাঁস হতে পারে।