ASANSOL

পুলিশ হেফাজত ও জামিন নিয়ে প্রায় পৌনে দু’ঘন্টা সওয়াল-জবাব, ১৪ দিনের জন্য জেলে জিতেন্দ্র তিওয়ারি

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ আসানসোল কম্বল কান্ডে আসানসোল জেলা আদালতে সিজিএমের এজলাস থেকে শেষ পর্যন্ত জামিন পেলেন না আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি। মঙ্গলবার সিজিএম তরুণ কুমার মন্ডল পুলিশের চাওয়া আরো ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন ও বিজেপির নেতার আইনজীবীর তরফে চাওয়া জামিনের আবেদন নাকচ করে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১১ এপ্রিল। সেদিন আবারও আসানসোল জেল থেকে জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে আদালতে পেশ করতে হবে বলে সিজিএম তার নির্দেশে জানিয়েছেন।


সিজিএমের এই নির্দেশের পরে সন্ধ্যে সাড়ে ছটা নাগাদ আদালত থেকে বেরোনোর সময় জিতেন্দ্র তেওয়ারি সাংবাদিকদের বলেন, রামনবমীর আগে আমাকে বাইরে বেরোতে দিলোনা। পয়লা বৈশাখের আগে বেরোতে দেবেনা কি না জানিনা। ওদের অনেক পরিকল্পনা আছে। তবে এইভাবে আসানসোলকে দমিয়ে রাখা যাবে না।
তবে তার পিসি বা পুলিশ হেফাজত বা পিসি ( পুলিশ কাস্টডি), জেসি ( জেল কাস্টডি বা জেল হেফাজত ও জামিন নিয়ে মঙ্গলবার সিজিএম বা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তরুণ কুমার মন্ডলের এজলাসে প্রায় পৌনে দু’ঘন্টা ধরে দীর্ঘ সওয়াল-জবাব হয় দুই আইনজীবীর মধ্যে। সেই সওয়াল-জবাবের মধ্যে অন্ততঃ তিনবার জিতেন্দ্র তেওয়ারির আইনজীবী শেখর কুন্ডু ও বিশেষ সরকারি আইনজীবী বা পিপি সোমনাথ চট্টরাজের মধ্যে বাদানুবাদ হয়। তারা ভরা এজলাসে যুক্তি ও তার পাল্টা যুক্তিতে বচসায় জড়িয়ে পড়ে। সেই সময় সিজিএম তাতে হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি সামাল দেন।


শেখর কুন্ডু এই মামলায় আগে গ্রেফতার হওয়া ৬ জনের কলকাতা হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়া থেকে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট থেকে চৈতালি তেওয়ারি সহ দুজনের গ্রেফতারে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন। তার জামিন দেওয়ার পক্ষে আইনজীবীর অন্যতম দাবি ছিলো যে, দুই উচ্চ আদালত সবকিছু বুঝে ও মামলার গুরুত্ব বুঝে ঐ নির্দেশগুলো দিয়েছে। তাহলে জিতেন্দ্র তেওয়ারির ক্ষেত্রে সেগুলো অবজারভেশন বা পর্যবেক্ষণে আসবে না?
অন্যদিকে, এই মামলার বিশেষ সরকারি আইনজীবী বা পিপি সোমনাথ চট্টরাজ মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশকে সামনে ও ঘটনার আরো তদন্ত করা বাকি আছে বলে আরো ৫ দিনের জন্য জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে পুলিশ হেফাজতে চেয়ে, তার জামিনের বিরোধিতা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *