অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সংগঠনের বার্ষিক সম্মেলনে মন্ত্রী মলয় ঘটক, আক্রমণ কেন্দ্র সরকারকে
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ কেন্দ্র সরকার আমাদের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সাংসদদের প্রতিনিধি দল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে কথা বলার পরেও বাংলার বিভিন্ন খাতের পাওনা হাজার হাজার কোটি কোটি টাকা দিল্লি আটকে রেখেছে। তবুও এরই মধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষের স্বার্থে ৭৮ টি প্রকল্প চালু করে রেখেছেন। একজন মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু সমস্ত সুবিধে রাজ্য সরকার দিয়ে চলেছে।
জহরলাল নেহেরু থেকে মনমোহন সিং পর্যন্ত দেশের সব প্রধানমন্ত্রীরাই দেশের কোন না কোন সম্পদ তৈরি করেছেন। কেউ চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা, কেউ দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা, হিন্দুস্থান কেবলসের মতো শিল্প করেছেন। কেউ আবার কয়লা খনি, ব্যাংক জাতীয়করণের মতো কাজ করেছেন। আর দেশের বর্তমান একমাত্র প্রধানমন্ত্রী যিনি একের পর এক জাতীয় সম্পদ বিক্রি করে দিচ্ছেন। বন্ধ করে দিচ্ছেন সেই সব কারখানা। তা না হলে নিজের পছন্দমতো শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দিচ্ছেন সরকারি সম্পদ। ভারতীয় জীবন বীমা নিগমের কুড়ি হাজার কোটি টাকা ডুবেছে। আর কিছু বিরোধী নেতা রাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিদিন অপপ্রচার করে চলেছেন। এইসবের বিরুদ্ধে শিক্ষক ,শিক্ষা কর্মী অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীরা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কেন্দ্র সরকার যেভাবে বাংলাকে বঞ্চিত করছে তার জবাব দিতে হবে। রবিবার আসানসোলের কল্যানপুরের শুভম হলে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের সংগঠন আসানসোল সাবডিভিশন রেকোগনাইজড্ নন গভমেন্ট এডুকেশনাল ইনস্টিটিউট পেনশনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ২৪ তম বাৎসরিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনভাবেই বর্তমান কেন্দ্র সরকারকে আক্রমণ করলেন রাজ্য আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক।
মন্ত্রী আরো বলেন, আপনাদের দাবি-দাওয়া নিশ্চয়ই থাকবে। পাশাপাশি এই রাজ্যে সমস্ত ধর্ম ও সমস্ত জাতি সমস্ত ভাষার মানুষকে নিয়ে চলা সরকার উন্নয়নের যে চেষ্টা করছেন তাকেও টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব আপনাদের।
ঐ সংগঠনের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অসিত উপাধ্যায় বলেন, প্রায় সাড়ে ৩০০ সরকারি স্কুলে চাকরি করা শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীরা অবসর নেওয়ার পরে এই অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমানে সদস্য আছেন। আমরা আমাদের ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি ছাড়াও রেলমন্ত্রক প্রবীণ নাগরিকদের টিকিট ছাড়ের যে সুবিধে তুলে দিয়েছে তার প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমাদের পেনশনে স্বাস্থ্য ভাতা বাবদ মাত্র মাসে ৫০০ টাকা দেওয়া হয়। সেটাও বাড়ানোর কথা আমরা জানিয়েছি। এছাড়াও অনেক দাবি আমাদের আছে।