আন্তর্জাতিক হকি খেলোয়াড়, কোচ ও আম্পায়ার হরকিরত সিং শোখী কে সম্মানিত করল বার্নপুর ক্রিকেট লাভার্স অ্যাসোসিয়েশন
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দোপাধ্যায়:
রবিবার বিকেলে বার্নপুর ক্রিকেট ক্লাব প্যাভিলিয়নে বার্নপুর ক্রিকেট লাভার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে কিংবদন্তি আন্তর্জাতিক মানের হকি খেলোয়াড় ,কোচ ও আম্পায়ার হরকিরত সিং শোখী কে সম্বর্ধনা দেওয়া হল।
মূলত: সম্প্রতি তাকে হকি ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে ” দ্য হকি প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড ফর বেস্ট টেকনিক্যাল অফিসিয়াল( টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর) ২০২১-২২ খেতাব দিয়ে সম্মানিত করেছে। আর সেকারণেই বার্নপুর ক্রিকেট লাভার্স অ্যাসোসিয়েশন তাকে সম্মানিত করল।
হরকিরত সিং শোখী সেল-আইএসপি, বার্নপুরের প্রাক্তন স্পোর্টস অফিসার ছিলেন। এছাড়া তিনি হলেন
ন্যশনাল হকি প্লেয়ার, এনআইএস “এ” হকি কোচ (গোল্ড মেডেলিস্ট), ইন্টারন্যাশনাল হকি আম্পায়ার।
ওই সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রদীপ কুমার ঠাকুর, সেল এর একজিকিউটিভ ডিরেক্টর (এম এম) রাজীব কুমার, কমলেন্দু মিশ্র, অশোক রুদ্র, বিশ্বজিৎ দাস, ফুটবল কোচ দেবব্রত ঘোষ থেকে শুরু করে শিল্পাঞ্চলের ক্রীড়া জগতের অন্যতম ব্যক্তিত্বরা ছাড়াও বিভিন্ন গুণীজন উপস্থিত ছিলেন।
হরকিরত সিং শোখী তার বক্তব্য রাখার সময় বার্নপুর ক্রিকেট লাভার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রত্যেক সদস্য এবং বিশেষত: কমলেন্দু মিশ্রকে ধন্যবাদ জানান। বার্নপুর শিল্পাঞ্চল এবং সেল আইএসপির সঙ্গে জড়িত ইতিহাসের স্মৃতিচারণ করেন। পাশাপাশি তিনি বলেন এখন স্পোর্টস এর ক্ষেত্রে কোম্পানির উচ্চ অধিকারীরা যেভাবে বিভিন্ন খেলার বিষয়ে এগিয়ে এসেছেন তার সময়ে সেই উৎসাহ পেলে আরো খেতাব সুনিশ্চিত ভাবে জয় করতেন।
এছাড়া তিনি শিল্পাঞ্চলের প্রত্যেকটি যুবক যুবতী শিশুদের খেলার প্রতি উৎসাহ নিয়ে এগিয়ে আসতে বলেন। তিনি বলেন, সাফল্য পেতে গেলে কোন শর্টকাট নয়, একমাত্র পরিশ্রমের মাধ্যমেই সাফল্য পাওয়া যাবে।”
এদিকে কমলেন্দু মিশ্র বলেন যে, ” বার্নপুর ক্রিকেট লাভার্স অ্যাসোসিয়েশন ১৯৮৪ সালে তৈরী হয়। তিনি ক্লাবের জন্মলগ্ন থেকেই সদস্য এখানকার এবং ক্রিকেট খেলার সাথে তিনি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এক্ষেত্রে যে মুহূর্তে তার কাছে খবর আসে যে হরকিরত সিং শোখী “দ্য হকি প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড ফর বেস্ট টেকনিক্যাল অফিসিয়াল( টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর) ২০২১-২২ অর্জন করেছেন সেই মুহূর্তে ক্রিকেট লোবাস অ্যাসোসিয়েশনের সমস্ত সদস্যের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেন তাকে সম্মানিত করতে হবে এবং আজ তাকে সম্মানিত করতে পেরে সংগঠনের প্রত্যেক সদস্যের সঙ্গে তিনি নিজেকেও গর্বিত বোধ করছেন। হরকিরত সিং শোখী শুধু শিল্পাঞ্চলের গর্ব নন সারা দেশের গর্ব তিনি।
ভবিষ্যতেও শিল্পাঞ্চলের অন্যান্য খেলোয়াড়দেরও যাতে যথাযোগ্যভাবে সম্মানিত করা যায় সে বিষয়টিও তার মাথায় রয়েছে বলে জানা তিনি।
হরকিরত সিং শোখী কি কি সম্মান অর্জন করেছেন একনজরে
• ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত সিনিয়র হকি জাতীয় দলে সিনিয়র বেঙ্গল হকি দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
• ১৯৮৬ সালে সিনিয়র বেঙ্গল হকি টিমের অধিনায়ক।
• ১৯৮১ সালে অনুষ্ঠিত ইন্টার জোনাল হকি টুর্নামেন্টে পূর্ব অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করে এবং তারপর ১৯৮২ সালে আবারও। ইস্ট জোন দল ১৯৮১ সালে রৌপ্য পদক জিতেছিল।
• তার চমৎকার এবং ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের কারণে শ্রী সোখীকে বিশ্বকাপ (১৯৮১) এবং এশিয়াড (১৯৮২) এর জন্য জাতীয় হকি দল নির্বাচনের জন্য ভারত শিবিরে নির্বাচিত করা হয়।
• ১৯৭৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত মোহনবাগান এসি, ইস্ট বেঙ্গল ক্লাব, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব এবং এমসিসি ক্লাব হিসাবে ভারতের মর্যাদাপূর্ণ ক্লাবের হয়ে খেলেছেন। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রতিনিধিত্ব করছেন।
• ১৯৯৬ সালে জাতীয় যোগ্য আম্পায়ার হন।
• ১৯৯৯ সালে আন্তর্জাতিক যোগ্য হকি আম্পায়ার হন।
• পরপর ১১ বছর ধরে একজন আম্পায়ার হিসাবে বিশ্বের প্রাচীনতম হকি টুর্নামেন্ট, মর্যাদাপূর্ণ বেটন কাপের ফাইনালে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন তিনি।
• জাতীয়সহ ভারতের প্রায় সব প্রিমিয়ার হকি টুর্নামেন্টের আনুষ্ঠানিক ফাইনাল ম্যাচ।
• বিভিন্ন দেশে সিনিয়র জাতীয় হকি দলের সাথে ছয়টি আন্তর্জাতিক হকি টুর্নামেন্টে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
• ২০১০ সাল থেকে সিনিয়র, জুনিয়র এবং সাব-জুনিয়র (পুরুষ ও মহিলা) জাতীয় টুর্নামেন্ট/চ্যাম্পিয়নশিপ/জাতীয় গেমের পাশাপাশি সমগ্র ভারতে ‘এ’ গ্রেড টুর্নামেন্টে টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
•১৯৯২ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত সেল এবং এসপিএসবি হকি টিমের কোচ ছিলেন তিনি।
- পশুবলি নিষিদ্ধে আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের : অবশেষে বোল্লা কালী মন্দিরে বলি নিয়ে কাটল জটিলতা
- বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আবারও আসানসোল পুরনিগমে বিক্ষোভ সাফাই কর্মীদের, আশ্বাস মেয়রের
- Mamata Banerjee : अवैध कोयला – बालू पर करें कार्रवाई, जो पैसा ले रहा वह समझे, किसी को ना छोड़े
- पार्वती टीचर्स ट्रेनिंग इंस्टीट्यूट में आर्ट आफ लिविंग का चार दिवसीय शिविर
- দামোদরে ডুবে মৃত্যু ধানবাদের তিন স্কুল পড়ুয়ার