ASANSOL

আসানসোলে বোর্ড বৈঠকে সিদ্ধান্ত, জরুরি ভিত্তিতে বছরে ৭ লক্ষ টাকার কাজের ক্ষমতা প্রতি বোরোর

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ আসানসোল পুরনিগমের মুখোমুখি হলে সোমবার পুর কাউন্সিলরদের মাসিক বোর্ড মিটিং হয়। আসানসোল পুরনিগমের চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়ের পৌরহিত্যে হওয়া এই বোর্ড মিটিংয়ে মেয়র বিধান উপাধ্যায়, দুই ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক ও ওয়াসিমুল হক, সমস্ত মেয়র পারিষদ, বোরো চেয়ারম্যান এবং কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
আসানসোল পুরনিগম এলাকার সামগ্রিক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হওয়ার পাশাপাশি নতুন কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


মেয়র বিধান উপাধ্যায় এই বিষয়ে বলেন, এদিনের বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে জরুরি বা আপৎকালীন ভিত্তিতে প্রতিটি বোরো ১ বছরের জন্য ৭ লক্ষ টাকার কাজ টেন্ডারের মাধ্যমে করতে পারবে। তারজন্য সদর দপ্তরের অনুমতি নিতে হবে না। এতদিন তা ছিলোনা। উদাহরণ স্বরূপ তিনি বলেন, যদি কোন বোরো এলাকায় কালভার্ট তৈরি বা অন্য কোন জরুরী কাজ করতে হয়, তার জন্য সদর দপ্তরের অনুমতি নিতে হতো। তা অনেক সময় সাপেক্ষ ছিলো। বোরো চেয়ারম্যানদের অসুবিধা হচ্ছিলো৷ তা তারা বারবার বলছিলেন। সেই কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


মেয়র আরো বলেন, সম্প্রতি ৩ দিন আসানসোল পুরনিগম এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়েছিলো। তার ফলে বহু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুুর এলাকায় পানীয়জল সরবরাহেও প্রভাব পড়েছিলো। কিন্তু আসানসোল পুুরনিগমের জল, স্যানিটারি সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মচারী ও আধিকারিকরা খুব অল্প সময়ের মধ্যে কাজ করেছেন। তারা নাগরিকদের পুর পরিসেবা ও সুবিধা দ্রুততার সঙ্গে ফিরিয়ে দিয়েছেন, তা প্রশংসনীয়। তিনি বলেন, এখনও অনেক জায়গায় জলের ঘাটতি রয়েছে। এদিনের বোর্ড মিটিংয়ে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিভাবে সেই জলের ঘাটতি মেটানো যায় তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।


চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এদিনের বৈঠকে যেসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে পেনশন। তিনি বলেন, অমৃত ধারা প্রকল্পে রাজ্য সরকার আসানসোল পুরনিগমের বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছে। ১০৬ টি ওয়ার্ডের মানুষদের জন্য পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।


মেয়র পারিষদ গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, পুরনিগম এলাকার কিছু রাস্তা চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে এখনও স্ট্রিট লাইট বা রাস্তার আলো দেওয়া যায়নি৷ সেই সব রাস্তায় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাস্তার আলোর ব্যবস্থা করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *