মন্ত্রীর উপস্থিতিতে রোগী কল্যান সমিতির বৈঠক ” রেফার” কমছে জেলা হাসপাতালে
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ প্রায়শই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন স্তরের সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগীদের ” রেফার ” বা অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করার অভিযোগ উঠে। অনেক সময় মুমূর্ষু রোগীদের রেফার করায় তার মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। কাঠগড়ায় উঠে স্বাস্থ্য দপ্তর। তাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কড়া বার্তা দিতে হয়। কিন্তু এবার আসানসোল জেলা হাসপাতালে এই ” রেফার ” নিয়ে অন্য ছবি দেখা গেলো। জেলা হাসপাতাল সূত্রে দাবি করা হয়েছে, গত দুবছর ও চলতি ২০২৩ সালের প্রথম ৫ মাসে ” রেফার” র সংখ্যা পর্যায়ক্রমে অনেকটাই কমেছে। সেই তুলনায় বেড়েছে ইনডোর ও আউটডোরে রোগীর সংখ্যা। বেড়েছে ” ডেলিভারি ” বা সন্তান প্রসব হওয়ার সংখ্যা।




শনিবার আসানসোল জেলা হাসপাতালের ডিএনএ কনফারেন্স হলে ” রোগী কল্যান সমিতি”র বৈঠক হয়। চেয়ারম্যান হিসাবে সেই বৈঠকের পৌরহিত্য করেন রাজ্যের আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক। অন্যদের মধ্যে ছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা সিএমওএইচ ডাঃ ইউনুস, আসানসোল পুরনিগমের চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল দূর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা আড্ডার চেয়ারম্যান বিধায়ক তাপস বন্দোপাধ্যায়, জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাস, ডেপুটি সুপার কঙ্কন রায়, মেয়র পারিষদ গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায়, একাধিক কাউন্সিলার, সহকারী সুপার, চিকিৎসক সহ অন্যান্যরা।
এই বৈঠকে জেলা হাসপাতালের বিভিন্ন ক্ষেত্রের পারফরম্যান্স তুলে ধরা হয়। তাতে দেখা যায়, জেলা হাসপাতালে ২০২১ সালে রেফারের সংখ্যা ছিলো ৪, ৫৩২। ২০২২ সালে তা হয় ২,৯৯৪। চলতি বছরের প্রথম ৫ মাসে ৫০০ টির মতো রেফার হয়েছে। একইভাবে, ২০২১ সালে আউটডোরে রোগীর সংখ্যা ছিল ২,৪৯,৩৯৪। ২০২২ সালে তা বেড়ে হয় ৩,১৩,৮৩৫। ২০২১ ও ২০২২ সালে জেলা হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা যথাক্রমে ৬৩,১৩৭ ও ৭০ ৩০০। একইভাবে, জেলা হাসপাতালে ২০২১ ও ২০২২ সালে ডেলিভারি বা সন্তান প্রসব হয়েছে যথাক্রমে ৯,১২৯ ও ১০, ৩৩৭।
” রেফার” নিয়ে নানা অভিযোগের মধ্যে নিজের জেলার জেলা হাসপাতালে ধাপে ধাপে, তার সংখ্যা অনেক কমে আসায় স্বাভাবিক ভাবেই খুশি রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। তিনি এদিনের বৈঠকে ” রেফার ” কমার ধারা ধরে রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সুপার সহ অন্যদের বলেছেন।
এদিনের বৈঠকে জেলা হাসপাতালের বেশ কিছু বিভাগে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক দেওয়ার বিষয়টি মন্ত্রীকে বলা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে মেডিকোলজিক্যাল ( ময়নাতদন্তকারী অফিসার, বর্তমানে একজন আছেন), রেডিওলজিস্ট ( দুজন আছেন। তারমধ্যে একজন অবসর নেবেন) ও কার্ডিওলজিস্ট ( হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ। বর্তমানে একজনও নেই। একজন ছিলেন। চুক্তি ভিত্তিক হওয়ায় তিনি চলে গেছেন। মন্ত্রী গোটা বিষয়টি স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের বলবেন বলে জানান।
সুপার বলেন, বৈঠক হাসপাতালের পার্কিং, পুকুর ও হাসপাতাল চত্বরে অবৈধ দখলদার নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
- কাজ শেষ হওয়ার পরও খনির নিচে কর্মীদের আটকে রাখার অভিযোগ ম্যানেজারের বিরুদ্ধে
- अवकाश प्राप्त ईसीएल कर्मी सम्मानित, घर में भी भव्य स्वागत
- Changes From 1st july 2025 : पैन कार्ड, रेलवे, बैंकिंग, गैस सिलेंडर और क्रेडिट कार्ड नियमों में बदलाव
- कम उम्र में ही दिल की बीमारियां और हार्ट अटैक के कारण अस्वास्थ्यकर जीवनशैली : डॉ. अनुराग गुप्ता
- বার্নপুরে যুব কংগ্রেসের ” হল্লা বোল ” কর্মসূচি, স্থানীয়দের চাকরি সহ ৫ দফা দাবিতে সেল আইএসপির ডিআইসিকে স্মারকলিপি