ASANSOL

পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বে অশান্তিতে শাসক দলকে আক্রমন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের, এসএফআই ও ডিওয়াইএফআইয়ের আসানসোল মহকুমাশাসক কার্যালয় অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার, ভাঙা হলো ব্যারিকেড 

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল,  রাজা বন্দোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ রাজ্য ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বে বাংলা জুড়ে অশান্তির জন্য সরাসরি রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেসকে আক্রমন করলেন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তিনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন, রাজ্য পুলিশ ও প্রশাসনকে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করানোর জন্য হুশিয়ারী দিয়েছেন।
সোমবার দুপুরে পশ্চিম বর্ধমান জেলা এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত নির্বাচন, সকলের জন্য কাজ, শিক্ষা ও ভাতের অধিকারের দাবিতে আসানসোলে মহকুমাশাসকের কার্যালয় অভিযানের ডাক দিয়েছিলো। আসানসোল শহরের জিটি রোডের চেলিডাঙ্গা থেকে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সিপিএমের ছাত্র ও যুব সংগঠনের সদস্যরা এই অভিযানের জন্য মিছিল করেন। এই মিছিল যাতে মহকুমাশাসকের কার্যালয় পর্যন্ত যেতে না পারে তারজন্য বিএনআরে রবীন্দ্র ভবনের সামনে পুলিশের তরফে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছিলো। লোহার গার্ডওয়াল দেওয়ার পাশাপাশি পুলিশের সঙ্গে রেফ ও কমব্যাট ফোর্সও মোতায়েন করা হয়। মিছিল শুরু হওয়ার পরে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে। সেই বৃষ্টির মধ্যে বিএনআরে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে এসএফআই ও ডিওয়াইএফআইয়ের সদস্যরা। পুলিশ সেই ব্যারিকেড ধরে তাদেরকে আটকানোর চেষ্টা করে। শুরু হয়ে যায় ধাক্কাধাক্কি। গোটা এলাকায় ধুন্ধুমার কান্ড বেঁধে যায়। ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। শেষ পর্যন্ত বিএনআরের সামনের ব্যারিকেড ভেঙে যায়। যদিও তারপরে আন্দোলনকারীদের আটকে দেন পুলিশ কর্মীরা।


আন্দোলন প্রসঙ্গে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, দলের দুই সংগঠন সকলের জন্য কাজ, শিক্ষা ও ভাতের অধিকারের দাবিতে এদিনের অভিযানের ডাক দিয়েছিলো। কিন্তু তার মধ্যে চলে আসে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই বলছি এই নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করতে হবে। মনোনয়ন পর্বে এখানে পর্যন্ত যেসব ঘটনা ঘটেছে তারজন্য শাসক দল দায়ী। তৃনমুল কংগ্রেসের নবজোয়ার এখন নবখোয়াড়ে পরিনত হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা মুখে এক কথা বলেন ও কাজে এক করেন। পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হতেই তারা গ্রামে গ্রামে তাদের নিজেদের গুন্ডা বাহিনীদের নামিয়ে দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, মনে রাখবেন এই নির্বাচন শুধু গ্রামের পুকুর কাটা ও রাস্তা তৈরি করা নয়। এই নির্বাচন গ্রামাঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নের সিঁড়ি। মানুষের বেঁচে থাকার অধিকারের লড়াই। গ্রামের মানুষদের সব বাধা পার করে ভোট দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপিকে হারাতে হবে। তাদের কাছ থেকে জানতে হবে, কেন ১০০ দিনের কাজ চলে গেছে? আবাস যোজনা কেন বন্ধ?
সিপিএম তথা বামফ্রন্ট নেতাদের সুরে সুর মিলিয়ে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় এদিন বলেন, রাজ্য ও কেন্দ্রের দুই শাসক দলকে হারাতে সবাইকে একজোট হতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *