ASANSOL

আসানসোলের জিটি রোডে এক ঘণ্টায় ছিনতাই ৪টি মোবাইল, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে গ্রেফতার দুই

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ* জিটি রোডে এক ঘণ্টায় ছিনতাই ৪টি মোবাইল। তার ছবি সিসিটিভিতে ধরা পড়ল। সেই সিসিটিভির ফুটেজ পুলিশ ২ জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতরা হলো মনীশ নুনিয়া ও সোনী দুবে। তাদের বাড়ি আসানসোলের জামুড়িয়া থানা নিংঘা ও আসানসোল দক্ষিণ থানার উষাগ্রামে। মঙ্গলবার ধৃতদেরকে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আসানসোল জেলা আদালতে পাঠানো হয়। বিচারক তাদের জামিন নাকচ করে তিনদিনের পুলিশ রিমান্ডের নির্দেশ দেন।

জানা গেছে, আসানসোল দক্ষিণ থানা এলাকায় জিটি রোডের আশ্রম মোড় থেকে আসানসোল বাজার এলাকার মধ্যে সোমবার এক ঘণ্টায় চারটি মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। সব ঘটনাগুলি সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে। এখনো পর্যন্ত আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশের কাছে দুটি মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ ছিনতাইকারীদের সনাক্ত করে। তাতে এক যুবক মোটর সাইকেল চালাচ্ছে। আর একজন পথচলতি মানুষদের মোবাইল ফোন ছিনতাই করছে। এরপর পুলিশ জামুড়িয়ায় নিংঘায় অভিযান চালিয়ে প্রথমে এই ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত মনীশ নুনিয়াকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে জেরা করে খোঁজ পাওয়া যায় আসানসোলের উষাগ্রামের সোনী দুবের। তাকেও পুলিশ গ্রেফতার করে।

ছিনতাইয়ের শিকার একজন জানান, সোমবার আমি স্কুটিতে যাচ্ছিলাম। সেই সময় ছিনতাইকারীরা আমার কাছ থেকে মূল্যবান মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর তিনি আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। এরপর পুলিশ সিসিটিভি খতিয়ে দেখে যে ঐ ছিনতাইকারী এক ঘণ্টার মধ্যে চারটি মোবাইল ছিনতাই করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃতদেরকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হবে। এখনও পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে৷ বাকি মোবাইল ফোনের খোঁজ করা হচ্ছে। পুলিশ জানায়, মোটরসাইকেলটি মনীশ নুনিয়া চালাচ্ছিলো। পেছনে বসে ছিলো সোনী দুবে। পুলিশ জানতে পারে মোটরসাইকেলটি মনীশের। সেটির খোঁজ করছে পুলিশ। পরে থানায় ডেকে মোবাইল মালিকদের ডেকে সেগুলো তুলে দেওয়া হবে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে। উল্লেখ্য, আসানসোলের কুলটি থানার চিনাকুড়ি এলাকায় একটি বড় মোবাইল চুরি বা ছিনতাই করা একটি চক্র সক্রিয় রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *