ইসিএলের সদর দপ্তরে গাড়ি মালিকদের আন্দোলন, শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে, কুশপুত্তলিকা দাহ
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও কাজল মিত্র : ২৪ দিন হয়ে গেলো পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের কুলটির শাঁকতোড়িয়ায় ইসিএলের সদর দপ্তরের সামনে পুরনো গাড়ির মালিকদের অবস্থান বিক্ষোভ আন্দোলন চলছে। আর শনিবার সেই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেসের কুলটি ব্লকের গোষ্ঠী কোন্দল আরো একবার প্রকাশ্যে চলে এলো। প্রথমে এক গোষ্ঠীর তরফে এলাকার এক ব্যবসায়ীর কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। পরে তার পাল্টা হিসেবে অন্য গোষ্ঠী তৃনমুল কংগ্রেসের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বিমান আচার্য্য ও তার ছেলে চন্দন আচার্যের কুশপুত্তলিকা দাহ করে। যা নিয়ে গোটা কুলটি ব্লকে শাসক দলের অন্দরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জেলা নেতৃত্ব এই ব্যাপারে সরাসরি কিছু না বললেও, তারা গোটা বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নিয়েছে।
আন্দোলনকারীদের দাবি, ৬৫ জন গাড়ির মালিক ও চালকদেরকে ইসিএল কতৃপক্ষ সরিয়ে দিয়ে নতুন টেন্ডারের মাধ্যমে নতুন করে গাড়ি নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। সেই টেন্ডার বাতিল করে তাদের সুবিধে দিতে হবে। ইসিএলের এই সিদ্ধান্তের জন্য ৬৫ জন গাড়ির চালক ও মালিক অসুবিধায় পড়েছেন। তারা লিখিত ভাবে দাবি করেন, নতুন টেন্ডার করে পুরোনো গাড়ি মালিকদের কাছ থেকে গাড়ি নেওয়ার প্রক্রিয়া করতে হবে।
ইসিএলের সদর দপ্তরে এই অবস্থান বিক্ষোভ চলাকালীন দিনকয়েক আগে এসেছিলেন তৃনমুল কংগ্রেসের কংগ্রেস জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং ও আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটক।
তারা ইসিএলের চেয়ারম্যানের সঙ্গে গোটা বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। তাদেরকে ইসিএল কর্তৃপক্ষ ইতিবাচক আশ্বাসও দিয়েছিলো।
কিন্তু তারপরেই শুক্রবার দেখা গেল শুক্রবার স্থানীয় এক ব্যবসায়ী ৫টি নতুন গাড়ি ইসিএল কতৃপক্ষকে দেওয়ার জন্য আনেন। তাতে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় বিক্ষোভকারী ৬৫ জন গাড়ির মালিক ও চালকদের মধ্যে। আর সেই কারণে শনিবার ঐ ব্যবসায়ীর কুসপুতুল দাহ করা সেখানে। অবস্থা সামাল দিতে পুলিশ ও ইসিএলের নিরাপত্তা আধিকারিকরা সেখানে পৌঁছে যায়।
আন্দোলনকারীদের তরফে কুলটি ব্লকের তৃনমুল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি বিমান আচার্য বলেন, আমার কারোর সঙ্গে কোন শত্রুতা নেই। কিন্তু কোন অন্যায় মানবো না। জেলা সভাপতির সঙ্গে দেখা করবো। তিনি যেমন নির্দেশ দেবেন, তেমন করবো।
এরপরে পাল্টা হিসেবে ঐ এলাকায় বিমান আচার্য ও তার ছেলে তৃণমুল যুব কংগ্রেসের নেতা চন্দন আচার্যের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন বেশ কিছু মানুষ। তারা নিজেদেরকে তৃনমুল কংগ্রেসের কর্মী বলে পরিচয় দেন। তাদের মধ্যে দশরথ মাজি বলেন, আমরা পাল্টা কুশপুত্তলিকা দাহ করে অন্যায়ের প্রতিবাদ জানালাম।