আসানসোলে জাতীয় সড়কে মর্মান্তিক পথ দূর্ঘটনা, মৃত্যু এক স্কুল পড়ুয়া সহ তিনজনের
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ মর্মান্তিক এক পথ দূর্ঘটনায় মৃত্যু হলো মোটরবাইক সওয়ার তিনজনের। মৃতদের মধ্যে এক স্কুল পড়ুয়া ও একজন কলেজ পড়ুয়া রয়েছে। সম্পর্কে মৃত তিনজন বন্ধু। মঙ্গলবার রাত দশটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল উত্তর থানার জুবিলি মোড়ের কাছে ১৯ নং জাতীয় সড়কে। মৃতরা হলো আসানসোল দক্ষিণ থানার সরস্বতী পল্লীর সনু কুমার যাদব (২৮), আসানসোল উত্তর থানার রেলপারের ধাদকার অবিনাশ চৌধুরী (২১) ও আসানসোল দক্ষিণ থানার ওয়েষ্ট আপকার গার্ডেনের রাহুল রাউত (২১)। বুধবার সকালে আসানসোল জেলা হাসপাতালে তিনজনের মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়। পরে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ মৃতদেহ তিনজনের পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেন। পুলিশ এই ঘটনায় পৃথক তিনটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে।
জানা গেছে, ওয়েষ্ট আপকার গার্ডেনের রাহুল রাউত আসানসোলে ডিএভি স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে পড়তো। অবিনাশ চৌধুরী কলেজ পড়ুয়া।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে তিন বন্ধু সনু কুমার যাদব, অবিনাশ চৌধুরী ও রাহুল রাউত একটি মোটরবাইক নিয়ে আসানসোলের বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলো। রাত দশটা নাগাদ আসানসোল উত্তর থানার জুবিলি মোড়ের কাছে ১৯ নং জাতীয় সড়কে মোটরবাইকটির চাকা স্কিট করলে, তা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। সেই সময় পেছনের দিক থেকে আসা একটি গাড়ি তাদের পিষে দেয়। এরফলে তিনজনই গুরুতর জখম হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এলাকায় আসে। তিনজনকে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে এমারজেন্সি বিভাগের চিকিৎসক অবিনাশ চৌধুরী ও রাহুল রাউতকে পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মেল সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় সনু কুমার যাদবকে। পরে তার মৃত্যু হয়। রাতেই পুলিশের তরফে তিনজনের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। পরে তিনজনের পরিবারের সদস্যরা জেলা হাসপাতালে আসেন।
কিন্তু তিনজনের পরিবারের সদস্যরা জানতেন না যে, ছেলেরা কোথায় কার মোটরবাইক করে যাচ্ছিলো। মৃত রাহুল রাউতের বাবা রবি রাউত বুধবার দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে বলেন, জানিনা ছেলে কাদের সঙ্গে বেরিয়েছিলো। মঙ্গলবার রাতে পুলিশ আমাদেরকে দূর্ঘটনার কথা বলে।
মৃত তিনজনের পরিবারের পাশাপাশি এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।