ASANSOL

আসানসোল স্টেশনের আধুনিকীকরণে ৪৩১ কোটি, আজ দিল্লি থেকে ভার্চুয়াল শিলান্যাসে প্রধানমন্ত্রী

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ একবারে বিমানবন্দরের ধাঁচে পূর্ব রেলের আসানসোল রেল স্টেশনের আধুনিকীকরণ হতে চলেছে। একবারে খোলনলচে বদলে ফেলা হবে আসানসোল রেল স্টেশনের চেহারা। এই কাজের জন্য ৪৩১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। রেল সূত্রে জানা গেছে, এই কাজের জন্য ইতিমধ্যে টেন্ডারও হয়ে গেছে।


আজ ৬ আগস্ট রবিবার সকালে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দিল্লি থেকে ভার্চুয়াল আসানসোল রেলস্টেশনের আধুনিকীকরণের শিলান্যাসের কাজের শুভ সূচনা করবেন । ভারতবর্ষে বিভিন্ন রেল স্টেশনের আধুনিকীকরণের কাজ প্রধানমন্ত্রীর হাত দিয়ে সূচনা হবে। এর মধ্যে পূর্ব রেলের ৩৭টি স্টেশন আছে। আসানসোল ডিভিশনের আসানসোল ছাড়াও আর যে চারটি স্টেশন আছে সেগুলি হল কুমারডুবি, শিমুলতলা ,অন্ডাল ও পাণ্ডবেশ্বর ।


পূর্ব রেলের এই কাজের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত চিফ ইঞ্জিনিয়ার আশীষ ভরদ্বাজ বলেন, আসানসোল স্টেশনে এই কাজের টেন্ডার হয়ে গেছে। তা পেয়েছে একটি সংস্থা । এর জন্য ৪৩১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি বলেন আসানসোল ডিভিশনের পশ্চিমবঙ্গের অন্ডাল ও পাণ্ডবেশ্বর এবং ঝাড়খণ্ডের কুমারডুবি ও শিমুলতলা এই চারটি স্টেশনের আধুনিকীকরণের জন্য ১৭ থেকে ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। রবিবার অর্থাৎ ৬ আগস্ট এই স্টেশন গুলিরও কাজ শুরু হয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশন সহ অন্যান্য ডিভিশনের আরো কয়েকটি স্টেশন একইসঙ্গে আধুনিকীকরণের কাজ ঐ দিন শুরু হবে। তবে হাওড়া স্টেশনকে বিশ্বমানের গড়ে তোলার কাজ এখনি শুরু হচ্ছে না।


তিনি বলেন, আসানসোল স্টেশনকে বিশ্বমানের স্টেশন করার কাজ আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে শেষ করা হবে। অন্য চারটি স্টেশনের কাজ ২০২৪ এর মধ্যেই শেষ করা হবে।
আসানসোল স্টেশনে আধুনিকীকরণের পরে বিমানবন্দরে সাধারণত যে ধরনের সব সুবিধা থাকে সেগুলি সবই থাকবে বলে তিনি জানান। স্টেশনে ঢোকা ও বেরোনোর আলাদা আলাদা রাস্তা থাকছে। আলাদা বাতানুকুল বা শীততাপনিয়ন্ত্রিত যাত্রী প্রতীক্ষালয় থাকছে। শারীরিকভাবে বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য আলাদা করে র‍্যাম তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে ।আধুনিক লিফটের ব্যবস্থা থাকছে। পুরো স্টেশনে সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে মুড়ে ফেলা হবে। থাকছে শপিং মল, আলাদা করে আধুনিক খাবার সরবরাহ, ক্যাফেটোরিয়া, বিমানবন্দরের মতো “চেক ইন” ও ” চেক আউট “এর ব্যবস্থা। ট্রেনের যাতায়াত সম্পর্কিত তথ্য আরও আধুনিক করা হবে। যাত্রী প্রতীক্ষালয় থেকেই যাত্রীরা দেখতে পারবেন কোন প্লাটফর্মে কোন ট্রেন ঢুকছে। নিরাপত্তার ব্যবস্থাটি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।


জানা গেছে, আসানসোল স্টেশনটি যেহেতু পুরনো ও একটি হেরিটেজ স্টেশন তাই পুরনো মূলভবনের তেমন কোন পরিবর্তন করা হবে না। তবে স্টেশন চত্বরের এলাকা আরো অনেকটাই বেড়ে যাবে। আলাদা আলাদা একাধিক নতুন ভবন ও তৈরি হবে স্টেশন চত্বরে বিভিন্ন দপ্তরের জন্য।
আসানসোল ডিভিশনের সূত্র থেকে জানা গেছে, রবিবার ৬ আগস্ট এই কাজের সূচনার জন্য আসানসোল স্টেশনে মঞ্চ তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে একটি অনুষ্ঠান করা হবে। যেখানে সাংসদ ও বিধায়করা নিমন্ত্রিত হিসাবে উপস্থিত থাকবেন ।তাছাড়াও ইতিমধ্যেই রেলের পক্ষ থেকে রেলের বিষয়কে কেন্দ্র করে প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা করা হয়েছিল। তার পুরস্কারগুলোও এদিন এখানে দেওয়া হবে। রবিবার সকাল এগারোটা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আনুষ্ঠানিকভাবে দিল্লি থেকে অন্যান্য রেল স্টেশনের সঙ্গে আসানসোলের কাজের শিলান্যাস করবেন। যা প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেখানো হবে আসানসোল রেল স্টেশনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *