ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বেগ, বোর্ড বৈঠকের পরে জানালেন মেয়র খাটাল উচ্ছেদ নিয়ে সবদলের মত নেবে পুর কতৃপক্ষ
বেঙ্গল মিরর,আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ ( Asansol Municipal Corporation Board Meeting ) আসানসোল পুরনিগম এলাকায় ঠিক এই মুহুর্তে ডেঙ্গু পরিস্থিতি পুর প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে যথেষ্টই উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ডেঙ্গু বাড়ার অন্যতম কারণ হলো যত্রতত্র থাকা খাটাল। এবার সেই খাটাল উচ্ছেদ নিয়ে সব রাজনৈতিক দলের মতামত জানতে চাইছে আসানসোল পুরনিগম কতৃপক্ষ। চলতি সপ্তাহেই এরজন্য একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার কথা ভাবছে আসানসোল পুরনিগম। বৃহস্পতিবার সকালে আসানসোল পুরনিগমের পুর কাউন্সিলরদের বোর্ড বৈঠক বা আগষ্ট মাসের মাসিক অধিবেশনের পরে এই কথা বলেন মেয়র বিধান উপাধ্যায়। মেয়রের সাফ কথা, আমরা কারোর রোজগারের বাধা হয়ে দাঁড়াতে চাইনা। তবে একটা খাটালের জন্য গোটা এলাকার বাসিন্দারা বিপদে পড়বেন, সেটাও হতে পারেনা। তাই আমরা সবার মত নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবো।




এদিনের বৈঠকে কাউন্সিলারদের তরফে ডেঙ্গুর ব্যাপারে প্রশ্ন তোলা হয়। তাতে সব কাউন্সিলারকে বলা হয়েছে, আপনারা এলাকায় নজর রাখুন। পুরনিগম ও স্বাস্থ্য দপ্তর তারা নিজেদের মতো করে কাজ করছে। এর পাশাপাশি এদিনের বৈঠকে কংগ্রেস কাউন্সিলারদের তরফে সামান্য বৃষ্টিতে এলাকা জলমগ্ন হয়ে যাওয়া ও গাড়ুই নদী সংস্কার করা নিয়ে পুরনিগম কি করছে, তা জানতে চাওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, সামান্য বৃষ্টিতেই জল জমে যাওয়া একটা চিন্তার ব্যাপার। পুরনিগম কতৃপক্ষ চিন্তাভাবনা করছে। পাশাপাশি কাউন্সিলারদেরকে তাদের কোন কোন এলাকায় জল জমে তার একটা তালিকা করে জমা দিতে বলা হয়েছে। তারপর সেই তালিকা ধরে পুর ইঞ্জিনিয়াররা এলাকায় যাবেন। কি কারণে জল জমছে, তা খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।
গাড়ুই নদী সংস্কার নিয়ে মেয়র বলেন, নদী পরিষ্কার করা হচ্ছে। কিন্তু পরে দেখা নদীর ধারে যেসব ছোট ছোট কারখানা আছে, তাদের বর্জ্য পদার্থ নদীতে ফেলা হচ্ছে। অনেকে বাড়ি ভাঙছেন বা তৈরি করছেন, তারা সব জিনিস নদীতে ফেলে দিচ্ছেন তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ঐসব কারখানা মালিকদের নোটিশ দিয়ে ডেকে বৈঠক করা হবে। তাদেরকে বলা হবে, তারা যেন তাদের বর্জ্য পদার্থ অন্য কোথাও ফেলেন। প্রথমে তাদেরকে সতর্ক করা হবে। পরে একই ঘটনা ঘটলে জরিমানা নেওয়া হবে। মেয়র আরো বলেন, সামনেই দূর্গাপুজো সহ উৎসবের মরশুম আসছে। তাই প্রতিটি ওয়ার্ডে ২০ টি করে নতুন স্ট্রিট লাইট দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি আসানসোল শহরকে যেমন করে সাজানো হয়, এবারেও তা করা হবে।
কংগ্রেসের দুই কাউন্সিলর গোলাম সরবর ও এস এম মুস্তাফা বলেন, আমাদের বেশ কিছু বিষয়ে প্রশ্ন ছিলো। তার উত্তরে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
এদিনের বৈঠকে মেয়র ছাড়াও ছিলেন ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক, মেয়র পারিষদ, বোরো চেয়ারম্যান সহ অন্য কাউন্সিলররা। বৈঠক পরিচালনা করেন চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়।