ASANSOL

আসানসোল পুরনিগম এলাকায় ডেঙ্গু মোকাবিলা, বিশেষ ধরনের মশারি বিলি

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্তের মোকাবিলায় এবার আসানসোল পুরনিগম এলাকায় বিশেষ ধরনের মেডিসিন দেওয়া মশারি বিলি করার সিদ্ধান্ত নিলো রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। এর নাম ” মেডিসিন ইনপেকনেটেড মশারি “। প্রধানতঃ আসানসোল পুরনিগমের যে সব এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি মাত্রায় দেখা দিয়েছে, সেখানে দুঃস্থ মানুষদের এই মশারি বিলি করা হবে। এই ধরনের ১৯০০ মশারি স্বাস্থ্য দপ্তর আসানসোল পুরনিগমকে দিয়েছে।


বুধবার পুরভবনে মেয়র বিধান উপাধ্যায় আনুষ্ঠানিক ভাবে বোরো চেয়ারম্যান ডাঃ দেবাশীষ সরকারের হাতে এই মশারি তুলে দেন। এরপর উৎপল সিনহা সহ বাকি ৯ জন বোরো চেয়ারম্যানদের হাতে মশারি তুলে দেন পুর চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়, ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হক, মেয়র পারিষদ সুব্রত অধিকারী ও ইন্দ্রাণী মিশ্ররা।


এই প্রসঙ্গে আসানসোল পুরনিগমের স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সোমনাথ মন্ডল বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ মাথায় রেখে স্বাস্থ্য দপ্তর আসানসোল পুরনিগমকে ১৯০০ মেডিসিন ইনপেকনেটেড মশারি দিয়েছে। আসানসোল পুরনিগমের যে ১০ টি বোরো আছে, তার প্রতি বোরোতে ১৯০ টি করে এই মশারি দেওয়া হলো। এদিন মেয়র বিধান উপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা বোরো চেয়ারম্যানদের হাতে এই মশারি তুলে দেন। এবার বোরো চেয়ারম্যানরা এলাকার গুরুত্ব বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলারদের তা দেবেন।

ডাঃ মন্ডল আরো বলেন, এই মশারিতে এক ধরনের বিশেষ মেডিসিন বা ঔষুধ দেওয়া আছে। যে কারণে মশারির আশেপাশে ঘেঁষতে পারবে না মশা। মশারির ভেতরে ঢোকা তো দূরের কথা। ৬ ফুট বাই সাড়ে ৬ ফুট লম্বা ও চওড়া এই মশারির ভেতরে চারজন শুতে পারবেন। শিশুরাও এই মশারির মধ্যে ঘুমতে পারবে। এই মশারিতে এমন এক ধরনের মেডিসিন দেওয়া হয়েছে, তা মানব শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক নয়।
মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, পুর এলাকায় ডেঙ্গু মোকাবিলায় স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ মতো সব পদক্ষেপ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *