ASANSOL

অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের বক্তব্য ভার্চুয়াল শোনানো হলো, বকেয়া টাকা নিয়ে আক্রমণ মন্ত্রী ও তৃনমুল কংগ্রেসের জেলা সভাপতির

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ ১০০ দিনের কাজ সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারী প্রকল্পের বকেয়া টাকা আদায়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে আগামী ২ ও ৩ অক্টোবর দিল্লি অভিযান রয়েছে। সেই অভিযানকে সামনে শনিবার বিকেলে আসানসোল জিটি রোড রাহা লেন মোড় সংলগ্ন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা পার্টি অফিসে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এই সাংবাদিক ছিলেন রাজ্যের শ্রম ও আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক, পশ্চিম বর্ধমান তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ও পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের ভি শিবদাসন তরফে দাসু, পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিশ্বনাথ বাউরি, রাজ্য তৃনমুল মহিলা কংগ্রেসের নেত্রী আলপনা বন্দোপাধ্যায়, জেলা সভানেত্রী অসীমা চক্রবর্তী, টিএমসিপির জেলা অভিনব মুখোপাধ্যায় ও শ্রমিক নেতা প্রভাত চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ও কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আগামী ২ ও ৩ অক্টোবরের দিল্লি অভিযানকে সামনে রেখে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায় দলের নেতা ও কর্মীদের উদ্দেশ্যে শনিবার দুপুরে বক্তব্য রাখেন। অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যের ভার্চুয়াল সম্প্রসারণ তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কার্যালয়ে সরাসরি বড় পর্দায় দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। সমস্ত তৃণমূল নেতা ও কর্মীরা ভার্চুয়াল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য শোনেন।
এরপরেই জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন জেলা সভাপতি বলেন,
পশ্চিমবঙ্গে ২.৬৫ কোটিরও বেশি জব কার্ড হোল্ডার রয়েছেন। যাদের জীবন জীবিকা ১০০ দিনের কাজের উপর নির্ভরশীল। গত দুই বছর ধরে তাদের নায্য পাওনা বিজেপি-শাসিত কেন্দ্রীয় সরকার আটকে রেখেছে। তার কারণ বাংলার মানুষেরা ২০২১ সালের বিধান সভা নির্বাচনে বিজেপিকে প্রত্যাখান করেছিলেন।


দিল্লিতে এক লক্ষ লোকের জন্য অস্থায়ী শিবির তৈরি, কৃষি ভবনের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের বাড়ির বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ করার অনুমতি দেওয়া হয় নি। বুকিংয়ের টাকা জমা দিয়ে বিশেষ ট্রেন অগ্রিম বুক করা হলেও, তা বাতিল করে দেওয়া।
তিনি আরো বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঠিক প্রতিবাদের দিন ইডিকে ব্যবহার করে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু প্রতিবাদ থামবে না। আমরা তাদের দয়া-দাক্ষিণ্যের উপর নির্ভরশীল নই। বাংলার আওয়াজ পৌঁছে যাবে দিল্লিতে। তারা তাদের সর্বশক্তি দিয়ে আমাদের থামানোর চেষ্টা করতে পারে, কিন্তু এই লড়াই চলবে। এই লড়াই আপামর সাধারণ মানুষের, তৃণমূল কংগ্রেসের না। এটা নির্বাচনী লড়াই নয়, আমাদের অধিকারের লড়াই আবাস যোজনা প্রকল্পের ৮ হাজার কোটি টাকা, আর ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের প্রায় ৭,০০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, দলের নেতা ও কর্মীদের আটকানোর চেষ্টা করা হলে ইটের বদলে পাটকেল খেতে হবে।


সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে বাংলার প্রতি। কেন্দ্র সরকার প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা আটকে আছে। এটা পশ্চিমবঙ্গের শ্রমজীবী মানুষের টাকা। এই টাকা আটকে থাকার কারণে এখানকার দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষ অনেক সমস্যায় পড়েছেন। এই বিষয়টিকে সামনে রেখে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ২ ও ৩ অক্টোবর দিল্লিতে বিক্ষোভ সভা অনুষ্ঠিত হবে। গোটা ভারতকে জানানো হবে যে বাংলার সঙ্গে কেন্দ্রের সরকার সৎ মাতৃসুলভ আচরণ করছে।
মন্ত্রী মলয় ঘটক আরো বলেন, দিল্লি সরকার ট্রেনের ব্যবস্থা না করলেও এখানকার মানুষ দিল্লি সরকারের প্রতি এতটাই ক্ষুব্ধ যে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ডাকে তারা বিক্ষোভ করতে পায়ে হেঁটে দিল্লি যেতে প্রস্তুত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *