অবশেষে জেলা হাসপাতালে চালু হতে চলেছে ” ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। অবশেষে আসানসোল জেলা হাসপাতালে চালু হতে চলেছে ” ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম “। এই সিস্টেম চালু করার জন্য ইতিমধ্যেই একটি বেসরকারি এজেন্সি নিয়োগ করেছে রাজ্যের পূর্ত দপ্তর বা পিডব্লুডি ( সিভিল)। সেই এজেন্সির তরফে আসানসোল জেলা হাসপাতালে কর্মী পোষ্টিং করা হয়েছে। এই কর্মীদের থাকার জন্য জেলা হাসপাতাল চত্বরে পুরনো গ্যারাজের পাশে একটি রুমও জেলা হাসপাতালের তরফে বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রতিদিন জেলা হাসপাতালে ( ২৪×৭) দুজন করে ফায়ার ফাইটিং অপারেটার বা ফায়ার ফাইটার ( এজেন্সির কর্মী) থাকবেন। জানা গেছে, দায়িত্ব পাওয়া এজেন্সি গোটা সিস্টেমটির অপারেশন বা চালানোর পাশাপাশি মেন্টেনেন্স বা রক্ষণা বেক্ষণ করবে। এজেন্সির কর্মীরা প্রতিদিন গোটা সিস্টেমে নজরদারি চালাবেন। ভবনের কোথাও কিছু ঘটনা ঘটলে, তারা নিজেদের মতো করে কাজ শুরু করবেন। পরে তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে জানাবেন।
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2024/05/img-20240520-wa01481045365085360283686-500x428.jpg)
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2024/09/img-20240909-wa00806721733580827251668.jpg)
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2024/12/fb_img_17339279922403722767543487143310-476x500.jpg)
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2023/09/IMG-20230702-WA0042-500x276.jpg)
আজ শুক্রবার সকালে এজেন্সির তরফে আসানসোল জেলা হাসপাতালে এইসব ফায়ার কলকাতা থেকে আসা প্রশিক্ষকরা ফাইটিং অপারেটারদের ” মক ড্রিল “র মধ্যে দিয়ে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেবেন বলে জানা গেছে। এই মক ড্রিলে আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাস, ডেপুটি সুপার কঙ্কন রায়, সহকারী সুপাররা ছাড়াও, পূর্ত দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার ও আসানসোল দমকল বাহিনীর কর্মীরা থাকবেন।
বৃহস্পতিবার এই প্রসঙ্গে সুপার ও ডেপুটি সুপার বলেন, এই সিস্টেমটি শুধুমাত্র আসানসোল জেলা হাসপাতালের পুরনো ভবনের জন্য তৈরি করা হয়েছে। হাসপাতালে যে পরে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে, তার জন্য নিজস্ব ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম আছে।
মহকুমা হাসপাতাল থেকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে উন্নিত হলেও, এতদিন পর্যন্ত পুরনো ভবনে ” ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম ছিলো না। তবে প্রাথমিকভাবে কাজ চালানোর মতো হাসপাতালে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র বা ফায়ার এক্সটিনগুইসার পর্যাপ্ত সংখ্যায় লাগানো আছে। যে কারণে পুরনো ভবনে অগ্নিকাণ্ডের মতো কিছু ঘটার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে আসানসোল দমকল বাহিনীকে ডেকে পাঠানো হতো। তবে এখন এই সিস্টেম চালু হয়ে যাওয়ায় আসানসোল জেলা হাসপাতালের পুরনো ভবন কিছুটা হলেও সুরক্ষিত বা নিরাপদ, তা বলা যেতেই পারে।
পূর্ত দপ্তরের সিভিল ও ইলেকট্রিক এই ফায়ার ফাইটিং সিস্টেমের গোটা পরিকাঠামো বা ইনফ্রাস্ট্রাকচারটি ইন্সটল করেছে। এরজন্য জকি পাম্প, মেন পাম্প ও ডিজে পাম্প বসানো হয়েছে। গোটা সিস্টেমে এই পাম্পগুলোর আলাদা আলাদা করে ফাংশন রয়েছে। এছাড়াও বসানো হয়েছে ” ফায়ার এলার্ম ” ও। গোটা সিস্টেমের জন্য কোটি টাকারও বেশি খরচ করা হয়েছে। ২০২১ সালের শেষের দিকে এই সিস্টেমটির তৈরির কাজ শেষ হয়েছে বলে জেলা হাসপাতাল ও পূর্ত দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। কিন্তু নানা কারণে গত দু’বছরে তা চালু করা যায়নি।
সুপার বলেন, জেলা হাসপাতালের জন্য এই সিস্টেম খুবই জরুরি ছিলো। আমরা অনেকদিন ধরে এটা চালুর চেষ্টা করছিলাম। অবশেষে তা হতে চলেছে।