RANIGANJ-JAMURIA

খনি শহর এখন মোজেছে মিশন রানীগঞ্জে, ছয়ই অক্টোবর থেকে মুক্তি পেতে চলেছে

প্রথম দিনের প্রথম শো, বুক করে নিয়েছে রানীগঞ্জের বণিক সংগঠন চেম্বার অফ কমার্স

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ : ( Mission Raniganj ) খনি শহর এখন মোজেছে মিশন রানীগঞ্জে, ছয়ই অক্টোবর থেকে মুক্তি পেতে চলেছে খনি শহরে কয়লা খনিতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে উদ্ধারের বিষয়কে নিয়ে গঠিত ফিল্ম, মিশন রানীগঞ্জ।
১৯৮৯ সালের ১৩ ই নভেম্বর, কয়লা খনির গহবরে ঘটা মর্মান্তিক দুর্ঘটনায়, কয়লা খনির ভেতরে জলবন্দী হয়ে পড়েছিল একাত্তর জন খনি কর্মী, আর সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিল পাঁচজন খনি কর্মী। তবে কয়লা খনির ইতিহাসে কয়লা খনি র প্রায় ৩৮০ ফুট গভীর গহবরে ঘটা এই ঘটনার পর, দ্রুত অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ৬৬ জন খনি কর্মীকে তিন দিনের মধ্যে, কয়লা খনি থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল। মাইন্স ইঞ্জিনিয়ার যশবন্ত সিং গিল, ও কয়লা খনির আরও সকল প্রযুক্তিবিদদের তৎপরতায়। খনি অঞ্চলের শহর রানীগঞ্জের মহাবীর কোলিয়ারিতেই ঘটেছিল সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা।

এবার সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ও খনি কর্মীদের সেই খনি গহ্বর থেকে উদ্ধার করার যে মূল কান্ডারী, সেই মূল কান্ডারী গিল সাহেব এর সাহসিকতার কথা তুলে ধরে, তৈরি হচ্ছে কয়লা খনি শ্রমিকদের উদ্ধার করার, রোমহর্ষক বীরত্বের সেই কাহিনী, “মিশন রানীগঞ্জ”। শুক্রবার ছয় ই অক্টোবর ভারতের বেশ কিছু বড় প্রেক্ষাগৃহে এই সিনেমা মুক্তি পাওয়ার সাথেই ,খনি অঞ্চলের শহর রানীগঞ্জের একমাত্র সিনেমা হল, অঞ্জনা সিনেমা হলে প্রদর্শিত হতে চলেছে বিশিষ্ট চলচ্চিত্র শিল্পী, অক্ষয় কুমার দ্বারা অভিনীত এই সিনেমাটি। খনি অঞ্চলের সব থেকে বড় সাফল্যের উদ্ধারকাজের প্রকৃত কাহিনী অবলম্বনে গঠিত এই সিনেমা, খনি শহরের একমাত্র সিনেমা হল অঞ্জনা সিনেমা হলে, তা প্রদর্শনের জন্য চলছে জোর প্রস্তুতি, সিনেমা হলের মালিক থেকে শুরু করে সমস্ত কর্মী মিশন রানীগঞ্জের গেঞ্জি পরে চালাচ্ছে প্রচার।

ইতিমধ্যেই চৌঠা অক্টোবর থেকেই এই সিনেমার বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে, যেখানে প্রথম দিনের প্রথম শো, বুক করে নিয়েছে রানীগঞ্জের বণিক সংগঠন চেম্বার অফ কমার্স। উল্লেখ্য এরই মধ্যেই এই সিনেমার স্ক্রিপ্ট রাইটার বিপুল কে রাউলকে, সম্মানিত করা হয়েছে বণিক সংগঠন চেম্বার অফ কমার্সের পক্ষ থেকে, তিনি কিভাবে, কি কি বিষয় লক্ষ্য করে, এই চিত্রনাট্যটি লিখেছেন, তা সব জানিয়েছেন তার বক্তব্যে। তার দাবি কয়লা খনি র গহ্বর থেকে উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে, এলাকায় কয়েকটা বছর ঘুরে ঘুরে, উদ্ধারকারী গিল সাহেবের সঙ্গে দীর্ঘকালীন সময় কাটিয়ে, জেনে নিয়েছেন কয়লা খনি দুর্ঘটনার সময়কালের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিষয়। আর সেই সকল বিষয়গুলিকে সিনেমাতে তুলে ধরে, তা দর্শকদের মাঝে আকর্ষণীয় করে তুলেছেন বিশিষ্ট চিত্র অভিনেতা অক্ষয় কুমার।

জানা গেছে প্রত্যহ ছটি করে শো দেখানো হবে অঞ্জনা সিনেমা হলে। দুটি পৃথক হলে তা দেখতে পাবে দর্শকেরা। অতিরিক্ত দর্শক হলে ব্যবস্থা করা হবে আরো একটি শো দেখানোর। জানা গেছে বুক মাই শো এর মাধ্যমেও, অনলাইনে বুক করা যাবে টিকিট, আর তার সাথে কাউন্টারেও মিলছে এই টিকিট। এদিনের এই সিনেমা দেখার জন্য উৎসুক হয়ে রয়েছে ছোট থেকে বড় সকলেই। প্রত্যেকেই জানতে ইচ্ছুক কি ঘটেছিল সেই দুর্ঘটনা। বর্তমান প্রজন্মের সদস্যরা তো এই সিনেমাকে রানীগঞ্জের গর্ভ বলে আখ্যা দিয়েছে। তাদের দাবি রানীগঞ্জ শহরকে বিশ্বের মাঝে তুলে ধরা হয়েছে এই সিনেমার মাধ্যমে। যা এই সিনেমা প্রদর্শনের মধ্যে দিয়ে, রানীগঞ্জ শহর যে কয়লা খনির জন্য বিখ্যাত ছিল সেই বিষয়কে আবারো সকলের মাঝে, তা তুলে ধরা হল এই সিনেমার মাধ্যমে বলেই দাবি করেছে তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *